ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র

ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি

ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে ঢাকা শহরের রিকশা ও রিকশাচিত্র। বুধবার ইউনেস্কোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তঃসরকারি কমিটির ১৮তম অধিবেশনে স্বীকৃতির এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের বাউলগান, জামদানি বুননশিল্প, মঙ্গল শোভাযাত্রা ও শীতলপাটি বুননশিল্পের পর এবার পঞ্চম বিমূর্ত ঐতিহ্য হিসাবে ইউনেস্কোর ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি তালিকায় স্থান পেল রিকশা ও রিকশাচিত্র।

আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসান শহরে সোমবার শুরু হয় ইউনেস্কোর আন্তঃসরকারি কমিটির ওই অধিবেশন। অধিবেশনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর উপস্থাপন করা হয় তাদের নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্য। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন প্যারিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার মুহম্মদ তালহা ও দূতাবাসের প্রথম সচিব ওয়ালিদ বিন কাশেম। 

অধিবেশনে বাংলাদেশের রিকশা ও রিকশাশিল্প নিয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। তাতে বলা হয়, ঢাকা শহরের তিন চাকার এই বাহনে থাকে নানা রঙের বৈচিত্র্য। বাহন হিসাবে শহরের মানুষের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে রিকশা। 

একই সঙ্গে উল্লেখ করা হয়, রিকশাচিত্র শুধু একটি শিল্প নয়, এটি মানুষের সমকালীন জীবনের গল্প বলার চলমান ক্যানভাস। বিমূর্ত ঐতিহ্যের সুরক্ষা-স্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া ইউনেস্কোর এ অধিবেশন শেষ হবে শনিবার। 

এদিকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ও সচিব খলিল আহমদ এ অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এ স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা রাখায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর ও প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানানো হয়। 

   


পাঠকের মন্তব্য