সীমান্তে ডাঙ্গোয়াল আতঙ্ক, নষ্ট হচ্ছে ফসল

সীমান্তের ৫ শতাধিক কৃষক ডাঙ্গোয়াল' আতঙ্কে

সীমান্তের ৫ শতাধিক কৃষক ডাঙ্গোয়াল' আতঙ্কে

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তের ৫ শতাধিক কৃষক ডাঙ্গোয়াল' আতঙ্কে রয়েছেন। গরু চোরাকারবারীদের স্থানীয় ভাষায় 'ডাঙ্গোয়াল' বলা হয়। তারা ভারত থেকে চোরাইপথে গরু আনার সময় চলাচলের পথ ব্যবহার না করে ফসলের খেত ব্যবহার করে। এতে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফসল রক্ষার জন্য রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন উল্লেখিত এলাকার কৃষক। তাদের দাবি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবির কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেও তারা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। 

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ডাঙ্গোয়ালরা গভীর রাত থেকে ভোর পযর্ন্ত ভারতীয় গরু বাংলাদেশে পাচার করে। তারা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় গরুগুলো নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় তারা সড়ক পথ ব্যবহার না করে ফসলের খেত দিয়ে গরু হাঁটিয়ে নিয়ে যায়। এতে ফসলের ক্ষতি হয়। 

আদিতমারী উপজেলার কৃষক সাধারণত ধান, সবজি, ভুট্টা ও তামাক চাষ করেন। কিন্তু ডাঙ্গোয়ালদের কারণে তারা এখন আতঙ্কে আছেন। বিশেষ করে শীতকালে এই আতঙ্ক বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন তারা। 

দূর্গাপুরের কৃষক সোলেমান আলী (৫৮) জানান, তিনি সীমান্তে দুই বিঘা জমিতে তামাকচাষ করেছেন। ডাঙ্গোয়ালদের কারণে প্রায় এক বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। বাকি এক বিঘা জমির ফসল নিয়ে তিনি চিন্তিত। বিজিবির কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার মিলছে না বলেও জানান তিনি। 

একই এলাকার কৃষক রেজাউল করিম (৪৮) বলেন, ডাঙ্গোয়ালদের কারণে এখন ভুট্টা, তামাক, বোরো ধানের বীজতলা ও সবজিখেত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একমাস আগে আমন ধানখেতের ক্ষতি হয়েছে। শীতকালে ঘনকুয়াশা নামলে ডাঙ্গোয়ালরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ফলে সীমান্ত এলাকার জমি থেকে আশানুরূপ ফসল ঘরে তুলতে পারছি না। 

দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মেহেরুল ইসলাম বলেন, বিজিবি ক্যাম্প কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দূর্গাপুর বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার মশিউর রহমান বলেন, কৃষকরা বিষয়টি জানিয়েছে। আমাদের অভিযান চোরাকারবারিদের ধরতে অব্যাহত রয়েছে। কৃষকদের ফসল যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য চিহ্নিত রুটগুলোতে টহল ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছে। চোরাকারবারিদের ধরতে আমরা কৃষকদেরও সহযোগিতা চেয়েছি। 

   


পাঠকের মন্তব্য