সিমাগো র্যাংকিংয়ে গবেষণায় দেশসেরা তৃতীয় স্থানে বেরোবি

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সিমাগো র্যাংকিংয়ে সেরা দশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে।
স্পেনের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিমাগো ইনস্টিটিউশনস ২০২৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪ হাজার ৫৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। সব সূচকে দেশের সেরা ৩৯ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অবস্থান ১১তম ও গবেষণায় দেশ সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩য়।
গবেষণা, সামাজিক প্রভাব ও উদ্ভাবন- এ তিনটি সূচকের ফলাফল পর্যালোচনা করে এই র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি তিনটি সূচকের ফলাফল অনুযায়ী আলাদা র্যাংকিং এবং একসঙ্গে মিলিয়ে সার্বিক র্যাংকিং প্রকাশ করে থাকে। সার্বিক র্যাংকিং করার জন্য তারা গবেষণায় ৫০ শতাংশ, উদ্ভাবনে ৩০ শতাংশ এবং সামাজিক প্রভাবে ২০ শতাংশ পয়েন্ট দিয়ে থাকে।গবেষণা, সামাজিক প্রভাব ও উদ্ভাবন- এই তিন সূচকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদালয়ের অবস্থান দেশে যথাক্রমে ৩য়, ৩৫তম ও ৩৮তম। আর তিনটি বিষয় মিলে বিশ্ববিদ্যালয়টির সার্বিক অবস্থান দেশে ১১তম।সিমাগো র্যাংকিংয়ে এবারই প্রথম বেরোবির এমম সাফল্য।
সিমাগো র্যাংকিং অনুযায়ী ২০২৩ সালে গবেষণায় দেশের সেরা দশ বিশ্ববিদ্যালয় হলো যথাক্রমে—চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় , ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এবং সার্বিক বিবেচনায় (গবেষণা-৫০, সামাজিক প্রভাব-২০ ও উদ্ভাবন-৩০) সিমাগো র্যাংকিং ২০২৩ অনুযায়ী দেশের সেরা দশটি বিশ্ববিদ্যালয় হল- বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ , মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় , বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১১ তম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অর্জনে সত্যিই আমরা গর্বিত,শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমেরই ফল এসব।আগামীতে এধরনের সফলতা আরো অর্জিত হোক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও নাম বিশ্বমানের হোক।
প্রসঙ্গত, স্পেনের এই সিমাগো ইনস্টিটিউশনস হলো আন্তর্জাতিক র্যাংকিং এর প্রতিষ্ঠান, যেখান থেকে সিমাগো ল্যাব ও বিশ্বের বৃহত্তম বৈজ্ঞানিক প্ৰকাশক, এলসেভিয়ারের মালিকানাধীন স্কপাস বিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের জন্য প্রতি বছর শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়ে থাকে। স্কপাস ডাটাবেজে কমপক্ষে ১০০টি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে এমন সব প্রতিষ্ঠানকেই এই র্যাংকিংয়ে বিবেচনায় নেয়া হয়।
পাঠকের মন্তব্য