নবীগঞ্জে এক পরিবারকে সমাজচ্যুত করার অভিযোগ 

জিয়াপুর গ্রামের তিন ভাই ও তাদের পরিবার

জিয়াপুর গ্রামের তিন ভাই ও তাদের পরিবার

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা ৪নং দীঘল বাক ইউনিয়নে পারিবারিক জমি-জামা নিয়ে দন্ধের জেরে, সালিশের রায় না মানায়, জিয়াপুর গ্রামের তিন ভাই ও তাদের পরিবারের সবাইকে সমাজচ্যুত করেছেন গ্রামের কিছু  মাতব্বররা।

জিয়াপুর গ্রামের লেপাস মিয়া,আরশ মিয়া, আশিক মিয়া সহ তাদের তিন পরিবারকে সমাজচ্যুত করার সমালোচনার মুখে পড়েছেন জিয়াপুর গ্রামের মাতব্বররা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানা যায় যে, লেপাস মিয়া গং ও প্রতিবেশী আক্কাস মিয়া তাদের আপন চাচাতো ভাইয়ের সাথে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ হলে, আক্কাস মিয়া গত শুক্রবার (২২ডিসেম্বর)২০২৩ইং জুম্মার  নামাজের পরে মসজিদে গেলে গ্রামের মুরুব্বিদের কাছে বিচার প্রার্থী হন, তখন ৪নং দীগলবাক  ইউপি চেয়ারম্যান ছালিক মিয়া ও  লেপাস মিয়ার কাছে বিচারের তারিখ চান, কিন্তু লেপাস মিয়া তাৎক্ষণিক বিচারের তারিখ না দিয়ে, বলেন আমি বাড়িতে গিয়ে বুঝে আপনাকে তারিখ দিব। কিন্তু চেয়ারম্যান ও গ্রামের কয়েকজন মাতব্বর তখনই তাদের বিচারের তারিখ দেওয়ার ছাপ সৃষ্টি করেন, এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান মসজিদে গ্রামের মানুষদের হুকুম দেন এদের ধর, তখন মসজিদের সামনে চেয়ারম্যানের বাড়ির প্রবেশমুখ মুখ থেকে কিছু সন্ত্রাসীরা বেরিয়ে আসেন। মারার জন্য তাঁদের উপরে হামলা করেন। হামলাকারীরা হলেন আব্দুল কাইয়ুম, আব্দুস সালাম, সিরাজুল ইসলাম,লিটন মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল কালাম,সমছু মিয়া,কবির মিয়া, আব্দুল তায়িদ জলু মিয়া,নরুল হক,লুৎফর মিয়া,হাবিব মিয়া,সাইফুল মিয়া,ইয়াকুব মিয়া,জিতু মিয়া, সারজুল ইসলাম,তোফায়েল মিয়া। 

উক্ত এই হামলায় গুরুতর আহত হন আরশ মিয়া(৬০)। গুরুত্ব আহত আরশ আলীকে নবীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। ০২দিন পর (২৪ডিসেম্বর)২০২৩ ইং তারিখে চেয়ারম্যান ছালিক মিয়ার নেতৃত্বে জিয়াপুর গ্রামে এক পঞ্চায়েতের মাধ্যমে লেপাস মিয়া গং দের সমাজচ্যুত করার ঘোষনা দেন।  

আবার পরের দিন(২৫ডিসেম্বর)২০২৩ইং তারিখে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আব্দুল কাইয়ুম,আব্দুস সালাম,সিরাজুল ইসলাম, লিটন মিয়া,গিয়াস উদ্দিন,  আব্দুল কালাম, সমছু মিয়া, আব্দুল কবির মিয়া,তায়িদ,জলু মিয়া,নরুল হক, লুৎফর মিয়া,হাবিব মিয়া,সাইফুল মিয়া  ইয়াকুব মিয়া,জিতু মিয়া, সারজুল ইসলাম,তোফায়েল মিয়াসহ লেপাস মিয়ার বাড়িতে এসে লেপাস মিয়া, আরশ মিয়াও আসিক মিয়াকে ঢেকে ঘরে থেকে বের করে জানিয়ে দেন আজ থেকে আমাদের গ্রামের পঞ্চায়েতের সাথে তোমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আজ থেকে তোমরা তোমাদের জায়গায় দেখে চলাচল করবে আমাদের গ্রামের পঞ্চায়েতের জায়গা জমি দিয়ে চলাচল করবেনা,আজ থেকে তোমাদের কে পঞ্চায়েত থেকে বাদ দিয়ে সমাজচ্যুত করা হল।

এ বিষয়ে ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছালিক মিয়ার সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে আমাদের জানান। 

ঐ দিন লেপাস মিয়া ৯৯৯ এ কল করে সহযোগিতা চাইলে ৯৯৯ এর পরামর্শে নবীগঞ্জ থানায় এক অভিযোগ দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ি ইনচার্জ আবু বকর কে নির্দেশ প্রদান করেন নবীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো: মাসুক আলী। 

ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ি ইনচার্জ আবু বক্করের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগটি আমার কাছে এসেছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইন আনুগ ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।

   


পাঠকের মন্তব্য