নির্বাচনের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড 

টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় ফিরছেন শেখ হাসিনা 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ। রোববার রাত সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৮৬ আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীনরা।

সর্বশেষ ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১৮৫ আসনে জয় পেয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১০ ও স্বতন্ত্র থেকে ৪৬ জন প্রার্থী জয় পেয়েছেন। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চমক হলো স্বতন্ত্র প্রার্থী। যাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে নির্বাচনের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে দলটি। এরপর থেকে একটানা ক্ষমতায় রয়েছে দলটি।

জয়ের সংখ্যা হিসাব করলে আওয়ামী লীগের পর স্বতন্ত্রদের অবস্থান। জাতীয় পার্টি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। তবে দলগতভাবে বিবেচনায় জাতীয় পার্টি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। 

রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের ২৯৯টি আসনের ৪২ হাজার ২৪টি কেন্দ্রে ভোট  হয়। ভোটগ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনে স্থাপিত মঞ্চ থেকেও একে একে ফলাফল ঘোষণা করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

ভোটগ্রহণ নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌত‚হল এবং কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি দুটোই কম ছিল। বিএনপিসহ ১৬টি রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় ভোটারদের কেন্দ্রমুখী হওয়ার আগ্রহ কম ছিল। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যমতেও, ভোটগ্রহণ শুরু থেকেই কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় ১৮.৫০ শতাংশ এবং বিকাল ৩টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টায় ২৭.১৫ শতাংশ ভোট পড়ে বলে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। যদিও বিকাল সাড়ে ৫টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, নির্বাচনে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ। তবে ভোটপড়ার ওই হার কমবেশি হতে পারে বলেও উল্লে­খ করেন সিইসি। 

   


পাঠকের মন্তব্য