শীতে কাঁপছে নন্দীগ্রাম, চারদিনেও সূর্যের দেখা নেই

শীতে কাঁপছে নন্দীগ্রাম

শীতে কাঁপছে নন্দীগ্রাম

প্রবাদে আছে, 'মাঘের শীতে বাঘ পালায়'। মাঘ মাসের প্রথম দিন রবিবার। মাঘ মাসের শুরুতেই বাঘ পালানো শীত বিরাজ করছে সারাদেশের ন্যায় নন্দীগ্রাম উপজেলাতেও। চারদিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের। নন্দীগ্রামে তীব্র এই শীতে থর থর করে কাঁপছে এই উপজেলার মানুষ। কনকনে ঠান্ডায় চরম অসহায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ। তীব্র শীতে কাজে যেতে পারছে না নিম্নবিত্ত ও দিনমজুর শ্রেণীর লোকজন। 

হতদরিদ্র মানুষ শীত মোকাবেলায় চরমভাবে হিমশিম খেলেও কেউ এগিয়ে আসছেনা তাদের সাহায্যে। শীতবস্ত্রের অভাবে সবচে বেশী দুর্দশা ও কাহিল হয়ে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। তীব্র শীতে পশু-পাখিসহ প্রাণিকুলের অবস্থাও নাকাল। অসহনীয় শীতের কারণে শ্রম বিক্রি করতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না লোকজন। তীব্র শীতে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। শীতের কারণে শহরের ফুটপাতসহ বিভিন্ন মার্কেটে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে। রাতে ও সকালে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। 

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে শীতজনিত সর্দি-কাশি, হাঁপানি, পেটের পীড়া, কোল্ড ডায়রিয়া রোগীদের ভিড় বেড়ে গেছে। রোগীদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। গাড়ি চালক আল-আমিন বলেন, 'শীতের তীব্রতা খুব বেড়েছে। কুয়াশা থাকায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে সকালেও গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে ফগ ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছি। 

কুয়াশার কারণে ধীরে চলাচল করতে গিয়ে সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছে  না।  এপ্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরদার মো. ফজলুল করিম বলেন, এই উপজেলায় সরকারি ভাবে একটি পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়নে তিন হাজার ১২০ টি কম্বল জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। এই তীব্র শীতে বরাদ্দের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। তবে আশা করছি এই উপজেলায় আরো কম্বল বরাদ্দ পাবো। তখন হতদরিদ্র লোকজন আরো উপকৃত হবে।

   


পাঠকের মন্তব্য