যুক্তরাষ্ট্রকে গুঁড়িয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে বাংলাদেশ

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে সহজেই বিশ্বকাপের সুপার সিক্স নিশ্চিত করল বাংলাদেশের যুবারা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। এ জয়ের মাধ্যমে শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে আরও একধাপ এগিয়ে গেল রাব্বি-শিবলীরা।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গাউং ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান করে যুবারা। জবাবে ৪৭.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করে যুক্তরাষ্ট্র।

২৯২ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেই ১১ রানে ওপেনিং জুটি ভেঙে যায় যুক্তরাষ্ট্রের। প্রণব ছেত্তিপালায়ামের সঙ্গে সিদ্ধার্থ কাপ্পা ৭৫ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। সিদ্ধার্থকে (১৮) ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙে দেন আরিফুল। একই ধারাবাহিকতায় ১১২ রানে চার উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। প্রণব ৯০ বলে ৮ চারে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন।

উৎকর্ষ শ্রীবাস্তব ও অমোঘ আরেপাল্লি শেষ প্রতিরোধ গড়েন। তাদের ৪১ রানের জুটি ভেঙে দেন রাব্বি। বাংলাদেশি অধিনায়ক পরের ওভারেও নেন আরেকটি উইকেট। ৪৪তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন রাব্বি। খুশ ভালালাকে ফিরিয়ে ১৭০ রানে যুক্তরাষ্ট্রকে গুটিয়ে দেন ইকবাল হোসেন ইমন। ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে চার উইকেট নেন রাব্বি।

এর আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলী ও আদিল বিন সিদ্দিক ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেয়। যদিও দলীয় ২৯ রানের মাথায় আদিলের বিদায়ে তাদের জুটি বড় হয়নি। আরিয়া গার্গের বলে তুলে মারতে গিয়ে প্যাটেলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। আউটের আগে ২৮ বলে ১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর রিজওয়ানকে নিজে জুটি গড়েন শিবলী। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৩৮ রান। সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি শিবলী। দলীয় ৬৭ রানের মাথায় প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে আরিফুলকে নিয়ে সেই চাপ সামালের কাজটা করেন রিজওয়ান। অবশ্য, তাদের জুটিও বড় হয়নি। দলীয় ৯৪ রানের মাথায় রিজওয়ানের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৪০ বলে ৩৫ রান করে ফেরেন রিজওয়ান।

রিজওয়ানের বিদায়ের পর আহরার আমিনকে নিয়ে বড় সংগ্রহের ভিত গড়েন আরিফুল। মাঝে ৯৯ বলে চলতি আসরে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন আরিফুল। দলীয় ২১৬ রানের মাথায় ৪৯ বলে ৪৪ রান করে বিদায় নেন আহরার। তার বিদায়ে ভাঙে এই দুইজনের ১২২ রানের জুটি।

সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি আরিফুল। দলীয় ২৩৭ রানের মাথায় ১০৩ বলে ১০৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তার বিদায়ের পর লেজের সারির ব্যাটারের দৃঢ়তায় ২৯১ রানে থামে বাংলাদেশ।

   


পাঠকের মন্তব্য