গোয়ালন্দে মালাই-চা বিক্রি করে সাড়া ফেলেছে রাসেল

মৌলভীবাজারে পোড়ামাটির তৈরি কাপে মালাইচা বিক্রি করে বেশ সাড়া ফেলেছে রাসেল

মৌলভীবাজারে পোড়ামাটির তৈরি কাপে মালাইচা বিক্রি করে বেশ সাড়া ফেলেছে রাসেল

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ছোটভাকলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারে পোড়ামাটির তৈরি কাপে মালাইচা বিক্রি করে বেশ সাড়া ফেলেছে রাসেল।

ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বপ্ন পূরণে গোয়ালন্দের জমিদার ব্রিজের পশ্চিম পাশে মৌলভীবাজারে দোকান ভাড়া নেন রাসেল। সেখানেই গড়ে তোলেন চা-এর দোকান। ধীরে ধীরে এখন তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা।

সারাদিনে মোটামুটি চা বিক্রি হলেও সন্ধ্যার পর দোকানটিতে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। এ সময় ভিড় ঠেলে মালাই চা খেতে হয় চা প্রেমীদের। অনেকে জায়গা না পেয়ে বাইরে দাঁড়িয়েই বন্ধুদের সঙ্গে খোশগল্প করতে করতে মালাই চা পান করেন। এখানে চা আড্ডায় মেনে ওঠাদের সিংহ ভাগই এলাকার বাইরে থেকে আসেন মালাই চা প্রেমীরা।  

প্রতিদিন সন্ধ্যার পর চায়ের অর্ডার ও পরিবেশনে ব্যস্ত সময় পার করতে হয় দোকান মালিক রাসেলকে।

দোকানের একপাশে বিশাল পাতিলে জ্বাল দেওয়া হয় দুধ। গরম দুধ, চিনি ও চায়ের লিকারের পর বিশেষ মসলায় মিশ্রণে মহূর্তেই তৈরি হয় মজাদার মালাই চা।অনেকে শখ করে ঘটি গরম চা বলেন, বা মাল টু-বা চা বলে থাকেন. 

রাসেল জানান, ২০২৩ সালে দোকান দেই। তখন তেমন একটা বেচাকেনা হতো না। কোনো কোনো দিন মাত্র ৫০ কাপ, কখনো এরও কম চা বিক্রি হতো। এখন দিনে কমপক্ষে ৫-৬ হাজার টাকার মালাই চা বিক্রি করি। 

আমার বিশ্বাস ছিলো ভালো চা তৈরি করতে পারলে মানুষ চায়ের জন্যই আসবে। আমি ভাল চা তৈরিতে মনোযোগ দেই।

এখন একজন একদিন এ দোকানে চা খেলে পরদিন দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে আসে। এভাবেই দোকানে ক্রেতা বাড়তে থাকে। এখন দোকানে জায়গা দিতে পারি না। এলাকায় ভাল চায়ের দোকান হিসেবে এক নামেই চিনে সবাই দোকানটিকে। চা খেয়ে যখন কেউ প্রশংসা করে তখন খুব ভালো লাগে। 

তিনি আরো বলেন, এ দোকানে তিন ধরণের চা তৈরি হয়। মালাই চা,ঘটি গরম চা,মালটুবা চা,প্রতি কাপ সর্বনিম্ন ২০ টাকা । মানুষ দুধের সর দিয়ে মালাই  চা বেশি পছন্দ করে। এ দোকানে প্রতিদিন ২০ লিটারেরও বেশি দুধ ব্যবহার হয়। বড় পাতিলে দুধ জ্বাল দেওয়া হয়। দুধ ভালভাবে জ্বাল হলেই তবে ভাল চা তৈরি করা যায়। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত চা পাওয়া যায়।

স্থানীয় সাংবাদিক মেহেদুল হাসান আক্কাছ দোকানে প্রতিদিন চা খেতে আসেন,  তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন থেকে এ দোকানে চা খাই। দোকানের চা অনেক ভালো লাগে। এই দোকানের সব কিছুই পরিষ্কার-পরিছন্ন। 

   


পাঠকের মন্তব্য