বিশ্বের ৮০০ কোটি মানুষের ৭ হাজার ভাষা

বিশ্বের ৮০০ কোটি মানুষের ৭ হাজার ভাষা

বিশ্বের ৮০০ কোটি মানুষের ৭ হাজার ভাষা

বিশ্বের ৮০০ কোটি মানুষের ৭ হাজার ভাষা মানব সভ্যতার বৈপ্লবিক উত্থানের অন্যতম কারণ। ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ সাধনা, যা মানব ইতিহাসে এক বৃহত্তর পর্বে দর্শনীয় বৈকল্পিক হয়েছে। ভাষা তার আদি রূপ থেকেই মানবজাতির সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের বাস্তবতা কেনেছে।

প্রশ্ন উঠতে পারে, ভাষার উৎপত্তি কবে এবং মানুষের এতো ভাষা সৃষ্টির কারণ কি? প্রাচীন সময়ে প্রথম ভাষা হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশের ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গুলির অস্তিত্ব ধারণ করা হয়েছে। সেই ভাষাই পরবর্তীতে বিভক্ত হয়ে দুটি জায়গায় যখন মানব সমাজের বিকাশ হয়েছে, তখন এই ভাষার দুটি বিভক্তি হয়ে উঠে, এর ফলে একটি ভাষা থেকে আরও অনেক ভাষা উৎপন্ন হয়েছে।

ধরে নেওয়া যায়, সবচেয়ে পুরোনো ভাষা হল ব্যাবিলনী কিংবা মিশরীয় ভাষা, যা প্রায় ৫০ হাজার বছর আগের ইতিহাসে দেখা যায়। এটি পৃথিবীতে প্রথম প্রাচীন সভ্যতা গুলির একটি ভাষা ছিল।

আধুনিক ভাষার সৃষ্টি হয় অস্ট্রেলিয়ায় হোমো সেপিয়ান্সদের বসতি স্থাপনের মধ্যে সাথে জড়িয়ে আছে মানব বিবর্তনের ইতিহাস। এই ভাষার প্রবৃদ্ধি মানব সমাজের প্রকৃতি, ভৌগলিক ও আর্থসামাজিক অবস্থানের সাথে সম্পর্কিত ছিল।

ভাষা বিজ্ঞানীদের মতে, বর্তমানে প্রচলিত বহুল ভাষা সবগুলি মূলত ইন্দো-ইউরোপীয় ধারা থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই ধারার মধ্যে গ্রিক, ইংরেজি, আরবি, ফার্সি, হিন্দি এবং বাংলা অন্তর্ভুক্ত।

অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী বলেন, প্রথম ভাষা হিসেবে ধারণা করা হয় ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাকে, এবং সেই ভাষা থেকে বিভিন্ন সময়ে একাধিক ভাষা উৎপন্ন হয়েছে। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারে প্রায় ১০টি শাখায় ভর করে বিকশিত হয়েছে, এবং মানবের স্বরতন্ত্র, ভৌগলিক ও আর্থসামাজিক অবস্থানের কারণে ভাষায় এতো বৈচিত্র্য উৎপন্ন হয়েছে।

প্রত্নতাত্তিকদের ধারণা, সবার কাছে আপন মাতৃভাষাই সেরা ভাষা। ভাষা মানব সমাজের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা দেয়, এটি মানুষের সাহিত্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং প্রতিভা বৃদ্ধির উপাদান হিসেবে অমূল্য।

   


পাঠকের মন্তব্য