সংসদ সদস্যদের থোক বরাদ্দ নিয়ে যা বলল টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)

সংসদ সদস্যদের থোক বরাদ্দ পুনরায় চালুর আগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য কৌশল প্রণয়ন করার জন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) একটি কৌশল প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে। টিআইবি এই কৌশলটি আগের মেয়াদের প্রকল্পের নিবিড় ও নিরপেক্ষ নিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে প্রযোজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বান জানিয়েছে।

জাতীয় সংসদে গত রোববার প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প চলমান, যা ২০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। এটির শেষ হলে নতুন প্রকল্প নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

টিআইবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের ১২ আগস্ট ‘সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ: অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক টিআইবির গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে অনেক স্কিমের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও স্কিম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ঠিকাদার ও তদারকি কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক যোগসাজশ এবং কমিশন-বাণিজ্যের ফলে কাজের মান প্রত্যাশিত পর্যায়ের ছিল না। এর ফলে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে জনগণের অর্থের অপচয় হয়েছে এবং স্বার্থান্বেষী মহল লাভবান হয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সময়ের সাথে সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও তার সঠিক ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতের উদ্যোগ বরাবরই উপেক্ষিত রয়ে গেছে। কেননা, সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যই অনুমোদিত কাজের অগ্রগতি তদারকি ও অভিযোগ নিষ্পত্তির একক দায়িত্বে থাকেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন সদস্যদের একাংশ। এর ফলে এসব কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

   


পাঠকের মন্তব্য