পাহাড়ের মাটিভর্তি দুটি ডাম্পার আটক করেছে বন বিভাগ

দক্ষিণ বন বিভাগের স্পেশাল টিম দিনব্যাপী অভিযান

দক্ষিণ বন বিভাগের স্পেশাল টিম দিনব্যাপী অভিযান

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের স্পেশাল টিম দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে পাহাড়ের মাটিভর্তি দুটি ডাম্পার আটক করেছে।এসময় জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। গত শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ও রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করেন স্পেশাল টিমের ওসি সমির রঞ্জন সাহা। 

বন বিভাগ সূত্রে পাওয়া, দীর্ঘদিন ধরে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি,সদরের ঝিলংজা ও পিএমখালীতে বন বিভাগ ও পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাহাড়ের মাটি কেটে পাচার করা হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে পাহাড়ের মাটি পাচারকালে একটি ডাম্পার আটক করা হয়েছে।একইদিন রাত ১২ টার দিকে দক্ষিণ মিঠাছড়ির কাটিরমাথা এলাকা থেকে পাহাড়ের মাটিভর্তি আরেকটি ডাম্পার আটক করেছে স্পেশাল টিম।আটককৃত গাড়ি দুটির মালিক মামুন ও মুন্না বলে জানা গেছে।   

স্হানীয় সূত্রে পাওয়া, দক্ষিণ মিঠাছড়ির ইউপি সদস্য আজিজুল হক প্রকাশ দুদু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে মাটি পাচার, কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে পাচার সহ বন গাছ কেটে পাচার করে আসছিল।গত শুক্রবার কাটিরমাথা এলাকা থেকে পাহাড়ের মাটিভর্তি যে ডাম্পার আটক করা হয়েছে,তা ছাড়িয়ে নিতে মোটা অংকের টাকায় মাঠে নেমেছে মেম্বার দুদু মিয়া।

কক্সবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা ও স্পেশাল টিমের সম্মানিত ওসি জনাব সমির রঞ্জন সাহা এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রজন্মকণ্ঠকে বলেন, পাহাড়ের মাটিভর্তি দুইটি ডাম্পার আটক করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবং পাহাড়ের মাটি পাচারে কে বা কারা জড়িত তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সরওয়ার আলম বলেন, পাহাড়ের মাটিভর্তি দুটি ডাম্পার আটক করা হয়েছে। 
পাহাড় কাটা,গাছ কাটা ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে বন বিভাগের পক্ষ থেকে  জিরোট্রলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। এই নীতি অনুসরণ করে বন কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। 

   


পাঠকের মন্তব্য