ব্র্যাক ও কক্সবাজার পৌরসভার মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

 নগরের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

নগরের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ব্র্যাক আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম কক্সবাজার পৌরসভার সাথে সমন্বিতভাবে নগরের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পে বিভিন্ন অংশীজনদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কোলাবোরেশন হাব এর তত্ত্বাবধানে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নির্দেশিকা তৈরি, রামু উপজেলার মিঠাইছড়িতে পৌরসভার নিজস্ব জায়গায় পালাস্টিক বর্জ্য পূনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একটি প্লান্ট স্থাপন এবং জনগণকে সচেতন করতে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য ব্র্যাক ও কক্সবাজার পৌরসভার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)  কক্সবাজার পৌরসভার মিলনায়তনে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র জনাব মো. মাহবুবুর রহমান চৌধুরি, নির্বাহি প্রকৌশলি পরাক্রম চাকমাসহ পৌরসভার অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্যানেল মেয়রগন, সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, বাংলাদেশ সাস্টেইনাবিলিটি অ্যালায়েন্স এর প্রধান সমন্বয়ক সঙ্কলিতা সোম এবং ব্র্যাক আরবার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম হেড ইমামুল আজম শাহী-সহ প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরি বলেন, শহরের জলাশয়গুলিকে সুরক্ষিত রাখতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর ও প্লাস্টিক মুক্ত পরিবেশের জন্য প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হওয়ার এখনই সময়। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে; যতদিন মানুষ সচেতনতা না বাড়বে, ততদিন আমরা আন্দোলনে সফল হতে পারব না।

বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্স (বিএসএ) প্রধান সমন্বয়ক সঙ্কলিতা সোম বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে কক্সবাজার নানা দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সারা বিশ্বে কক্সবাজার বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিএসএ এই প্রক্রিয়ায় বিরিয়োগ ও সহযোগিতা করবে।

ব্র্যাক আরবার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম হেড ইমামুল আজম শাহী বলেন, আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবন প্লাস্টিক ছাড়া যেমন চিন্তা করতে পারি না। তবে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য প্লাস্টিক পন্যগুলোর যথাযথ ব্যবস্থাপনা। এ লক্ষ্যে আমরা কক্সবাজার পৌরসভার সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করবো এবং প্রাথমিকভাবে পৌরসভার ৪টি ওয়ার্ডে পাইলট আকারে এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, সকলের সহযোগিতায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সকলের জন্য কিছু অনুসরণযোগ্য উদাহারণ তৈরি করতে পারবো।

   


পাঠকের মন্তব্য