পাংশাতে কবর স্থানে আগুন দিয়ে বিপাকে বক্কর শেখ 

 পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ন

পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ন

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের উত্তর পাট্টা গ্রামের যৌথ একটি করব স্থান রয়েছে এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের কেউ মারা গেলে সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। স্থানীয়রা সকলে মিলে এ কবর স্থান বানিয়েছেন। 

বুধবার দুপুরে ওই কবর স্থান এলাকায় গিয়ে দেখাযায় কয়েকশত মানুষ কবর স্থানের পাশে বসে মিটিং করছে, এখানে কিসের মিটিং চলছে এমন প্রশ্নে শতশত মানুষ বলে উঠে বক্কার ডাত্তার গোরস্থানে আগুন দিয়েছে সে বিষয়ে আমরা এখানে বসেছি, সে আসে নি ঘরে দরজা আটকে বসে আছে, কবরস্থানে গিয়ে দেখাযায় কবরস্থানে কবরের উপর বাশ বাগান হয়েছে সেই বাঁশ বাগানে আগুন দেওয়া হয়েছে সেই আগুনে কবর স্থানের বেশ অংশে আগুন লেগে কবরের উপর ভাগে বাঁশে আগুন লেগে পুড়ে রয়েছে, এ বিষয়ে এলাকাবাসি ঐক্য বন্ধ হয়ে এ ঘটনার বিচার কামনা করেছে একই সাথে গন পিটিশন দেওয়ার জন্য স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে। 

স্থানীয় নিকবার মন্ডল, মোক্তার হোসেন, তিলাম ও সালাম প্রর্থকদর্শীরা বলেন গত বুধবার আসরের নামাজের পরপর আমাদের গোরস্থানে আগুন দেখতে পায় পাশেই আমরা জমিতে কাজ করছিলাম সেখানে তাৎক্ষনিক আমরা বক্কর ডাক্তারকে দেখতে পায় এগিয়ে গিয়ে তার সাথে কথা বললে সে ম্বীকার করে বলেন আমি আগুন দিয়েছি। 

গোরস্থান কমিটির সভাপতি মোঃ জয়নাল মন্ডল, সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম বিপুল, সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেনসহ শতাধীক মানুষ একই কথা বলেন- এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, এমন ঘটনায় এলাকার মানুষ ওই পরিবারকে এক ঘরে করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

কথিত ডাক্তার আবু বক্কর শেখের বাড়ী ছিল পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন কসমাজাইল ইউনিয়নের নাদুড়িয়া গ্রামে সেখানে বিভিন্ন কাজের কারণে ৫ বছর আগে পাট্টা এলাকায় এসে বাড়ী নির্মান করে বসবাস করে আসছে, স্থানীয়রা বলেন তার ছেলে সেনাবাহিনীতে চাকুরী করেন সে গরমে ধরাকে সরাও মনে করেন না, কিছু হলেও নাকি পাংশা- রুপিয়াট থেকে মুস্তান নিয়ে আসে এবার এলাকার মানুষ গ্রামের সকল মানুষ ঐক্য বদ্ধ হয়ে  এ ঘটনার সঠিক বিচার কামনা করেছেন। 

পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুন্না বিশ্বাস বলেন এ ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজন আমি শুনেছি তারা স্থানীয় ভাবে বসে মিমাংশা করুক। তবে মুসলাম হয়ে এমন একটি কাজ তাদের করা উচিৎ হয়নি। 
 
এ ব্যাপারে  আবু বক্কর শেখের সাথে কথা বলার চেষ্ঠা করা হলে তার বাড়ী গিয়ে পাওয়া যায়নি ফোন নাম্বার চাইলেও কেউ দেয়নি প্রতিবেদক তার ভিজিটিং কার্ড দিয়ে আসলেও এ বিষয়ে তারা কোন কথা বলেনি। 

পাংশা মডেল থানার এই আই ও পাট্টা ইউনিয়নের বীট অফিসার মোঃ সেলিম হোসেন বলেন এমন একটি বিষয় শুনেছি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   


পাঠকের মন্তব্য