পুজা উদযাপন পরিষদ সুন্দরগঞ্জ শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) উপজেলার ডিড রাইটার ডি ডব্লিউ সরকারি কলেজে দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে পৌর সভা সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পুজা উদযাপন পরিষদের ১'শত ৩০ জন ভোটারের মাধ্যমে সভাপতি ও সারারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। সভাপতি পদে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এর মধ্যে মৃদাঙ্গ প্রতীক নিয়ে সর্বোচ্চ ৪২ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয় দীপক কুমার সরকার বাবলু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নিমাই ভট্টাচার্য মঙ্গল ঘট প্রতীক নিয়ে পান ৩২ ভোট।
এতে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মোট ৪জন প্রার্থী। এরমধ্যে বীনা প্রতীক নিয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আল্পনা গোস্বামী। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঘন্টা প্রতীক বিশ্বজিৎ সরকার পান ৪৫ ভোট।
দ্বি বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ পরেশ চন্দ্র সরকার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি রনজিৎ বকসি সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল সাহা।
সম্মেলনে বক্তব্য বলেন, মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ হতে পারে না। মানুষের মানবিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হারানো ছিলো জাতির জন্য দুর্ভোগ। আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই। সংখ্যালঘুদের সাথে যে ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটেছে তার বিচার না হওয়ার ফলে সাম্প্রদায়ীকতা প্রকাশ পাচ্ছে। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাশ করতে হবে। কে হিন্দু? কে মুসলমান? কে বৌদ্ধ? কে খ্রিস্টান? এ রকম পরিচয়ে আমরা বাঁচতে চাইনা। আমরা অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ চাই।
পাঠকের মন্তব্য