আইসিসির প্যানেলে চার বাংলাদেশি নারী আম্পায়ার

বাঁ থেকে-সাথিরা জাকির, রোকেয়া সুলতানা ও চম্পা চাকমা। ফাইল ছবি

বাঁ থেকে-সাথিরা জাকির, রোকেয়া সুলতানা ও চম্পা চাকমা। ফাইল ছবি

প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) প্যানেলে চার বাংলাদেশি মহিলা আম্পায়ার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক ছুঁয়েছে। উপরন্তু, সুপ্রিয়া রানীকে ম্যাচ রেফারি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে, যা দেশের নারী ক্রিকেটের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। 

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু এ ঘোষণা দেন। সাথিরা জাকির জেসি, রোকেয়া সুলতানা চৌধুরী, ডলি রানী সরকার, এবং চম্পা চাকমাকে আইসিসি উন্নয়ন প্যানেলের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, আর সুপ্রিয়া রানী ম্যাচ রেফারি হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

মিঠু এই অর্জনকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিশেষ করে নারী ক্রিকেটের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি গত দুই বছরে আম্পায়ারদের দ্বারা প্রদর্শিত নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের উপর জোর দেন, যার ফলে আইসিসি তাদের স্বীকৃতি দেয়। প্রতিষ্ঠিত পুরুষ সমকক্ষদের পাশাপাশি ম্যাচ রেফারি হিসেবে সুপ্রিয়া রানীর অন্তর্ভুক্তি ক্রিকেট অধিদপ্তরের মধ্যে লিঙ্গ সমতার দিকে এক ধাপ এগিয়ে প্রতিফলিত করে।

আইসিসি প্যানেলে মহিলা আম্পায়ারদের সংযোজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী মহিলা ক্রিকেটারদের খেলার পাশাপাশি আম্পায়ারিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপটি খেলাধুলার মধ্যে লিঙ্গ বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তি প্রচারের জন্য একটি বৃহত্তর প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত দেয়, যা ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষদের দ্বারা আধিপত্যের ভূমিকা নিতে আরও মহিলাদের উত্সাহিত করে৷

মিঠু আম্পায়ারদের ক্রমাগত বৃদ্ধি ও সাফল্য নিশ্চিত করতে তাদের পূর্ণ সহায়তা প্রদানে বিসিবির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি ভবিষ্যত প্রতিভা লালন এবং ক্রিকেট অধিদপ্তরে মহিলাদের জন্য সুযোগ বাড়ানোর জন্য উন্নয়ন পাইপলাইনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দেন।

আইসিসি প্যানেলে বাংলাদেশি মহিলা আম্পায়ারদের অন্তর্ভুক্তি দেশের মহিলা ক্রিকেটের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন। এই মাইলফলকটি শুধুমাত্র আম্পায়ারদের প্রতিভা এবং উত্সর্গকেই স্বীকৃতি দেয় না বরং ক্রিকেট অধিদপ্তরের মধ্যে লিঙ্গ সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির দিকে অগ্রগতিও তুলে ধরে। এই গতি বজায় রাখতে এবং বিশ্ব ক্রিকেটের মঞ্চে বাংলাদেশের উপস্থিতি আরও বাড়ানোর জন্য নারী আম্পায়ারদের উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়া, অব্যাহত সমর্থন এবং বিনিয়োগ অপরিহার্য হবে।

   


পাঠকের মন্তব্য