জাতির উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ

ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান : প্রধানমন্ত্রী

জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪-এর প্রাক্কালে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে জাতিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়েছেন। টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন চ্যানেল সহ একাধিক প্ল্যাটফর্মে সম্প্রচারিত ভাষণটি গত ১৫ বছরে তার সরকারের নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন।  

অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের মেয়াদে বাংলাদেশের একটি দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে একটি "উদীয়মান অর্থনীতিতে" রূপান্তরের প্রতিফলন ঘটিয়ে শুরু করেন। তিনি কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প এবং অবকাঠামোর মতো সেক্টরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। উল্লেখযোগ্য অর্জন সত্ত্বেও, তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বাহ্যিক ষড়যন্ত্র উভয়ের দ্বারা সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা স্বীকার করেছেন।

অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা: শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি সহ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের স্থিতিস্থাপকতার ওপর জোর দেন। তিনি রমজান মাসে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব প্রশমিত করার জন্য সরকারী পদক্ষেপের রূপরেখা দিয়েছেন, যার মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করা এবং ভর্তুকি প্রদান করা।

অবকাঠামো উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্কের উন্নতি সহ তার সরকারের অধীনে সম্পন্ন হওয়া বড় অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলির রূপরেখা দিয়েছেন। এই উদ্যোগগুলি বাংলাদেশের অবকাঠামোতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সংযোগ বৃদ্ধি করেছে।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র: শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে তার সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরে রাজনৈতিকভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টার কথা বলেছেন। তিনি সাংবিধানিক শাসনের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন এবং গণতান্ত্রিক নীতিগুলিকে ক্ষুণ্ন করার যে কোনও প্রচেষ্টার নিন্দা করেছিলেন।

পররাষ্ট্র নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা: প্রধানমন্ত্রী জাতির সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার উপর জোর দিয়ে "সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বিদ্বেষ নয়" এর পররাষ্ট্র নীতির প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বাইরের হুমকির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন এবং বাংলাদেশের সম্মান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকার করেছিলেন।
 
ভবিষ্যৎ ভিশন: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তর করার জন্য শেখ হাসিনা তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। তিনি দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পথে যাত্রা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ এর প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণে বাংলাদেশের অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং আকাঙ্ক্ষাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাধা অতিক্রম করে জাতিকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জন্য তার আহ্বান বাংলাদেশী জনগণের মধ্যে নিহিত ঐক্য ও স্থিতিস্থাপকতার চেতনায় অনুরণিত হয়েছিল। বাংলাদেশ যখন তার স্বাধীনতা উদযাপন করছে, তখন প্রধানমন্ত্রীর বার্তাটি অগ্রগতি ও সংহতির জন্য একটি মিছিলকারী আর্তনাদ হিসেবে কাজ করে।

   


পাঠকের মন্তব্য