সন্ধ্যা নামলেই মাদকসেবীদের আড্ডা, চোর ছিনতাইকারীদের উৎপাত

উপজেলা মহেন্দ্রনগর ও কুলাঘাট ইউনিয়ন

উপজেলা মহেন্দ্রনগর ও কুলাঘাট ইউনিয়ন

লালমনিরহাট সদর উপজেলা মহেন্দ্রনগর ও কুলাঘাট ইউনিয়ন (৯নং ওয়ার্ড) কিশামত ঢঢ গাছ (দেবদেবীরহাট) এলাকায় মাদকের ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ, বাড়ছে ছিনতাই চুরি সহ নানা রকম অপরাধ। রাতদিন চলে নানা অপকর্ম। সন্ধ্যা নামলেই আড়ালে সেখানে চলে মাদকসেবীদের আড্ডা। এছাড়া গভীর রাতে মানুষের বাড়ি থেকে গরু, ছাগল, সাইকেল চোরের উপাত্তে অষ্টিত একাবাসী ও বাজারের ব্যববসায়ীরা।

প্রায় দিনেই চুরি-ছিনতাই ঘটনা ঘটছে কিশামত ঢঢ দেবদেবীরহাট পাশ্ববর্তী এলাকায়। অথচ দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ছে না কেউ। তার জেরে নিরাপত্তা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। 

গত (সোমবার ২৫ মার্চ) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডে দেবদেবীহাট থেকে সাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। 

ছিনতাইয়ের ঘটনায় ফজলুল হক আলমের চায়ের দোকানের সামনে রেখে বাজার করতে গিয়েছিলেন কিছুখন পর এসে দেখতে পায়, চাবি আছে সাইকেল নেই তৎকালীন ঘটনাটি বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। আরও একাধিক চুরি কবলে পড়া ভুক্তভোগী বলে একই ভাবে তাদের সাইকেল গুলো ছিনতাইকারী ছবলে পড়েছেন।

তামাক চাষী কমল চন্দ্র জানান ১০ দিন আগে তার বাড়ির সামনে তামাকের শুকানের জন্য রাস্তা শুকাতে দিযেছিনে, কিন্তু মধ্যে রাতে চোরের কাজ থেকে রেহাই পাননি তারা।

একাধিক এলাকাবাসীরা বলেন, আমরা রাতের ঘুমকে হামরাম করা পড়ের কোনো ভাবে এই চোর চিনতাইকারিদের ধরতে পারছি না, আর দেবদেবীরহাটে আনাছে কোনাছে গাঁজা সেবন কারীরা প্রকাশ্য মাদক সেবন করেন, কেউ কিছু বলতে পারেন তাদেরকে, এই নিয়ে মেম্বার চেয়াম্যানকে বলার পরও কোনো ব্যবস্থানি, তাহলে কী এই চোর ছিনতাইকারীদের হাত থেকে রেহাই পাবো না।

মহেন্দ্রনগর ও কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানান, আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে, আর যেন চোর ছিনতাইকারী ছোবলে না পড়ি, আর মাদক সেবন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন, প্রত্যেক সচেতন হতে হবে, বিষয়টি দুঃখ জনক অভিযোগ পেলে আইন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

   


পাঠকের মন্তব্য