বাইন তলা স্লুইচ গেট সংলগ্ন প্রধান সড়কে ধ্বস: জনদুর্ভোগ 

পাইকগাছার লস্কর ইউনিয়নে খড়িয়া বাইনতলা স্লুইচ গেট নির্মাণেকালে প্রধান সড়কে ধ্বস

পাইকগাছার লস্কর ইউনিয়নে খড়িয়া বাইনতলা স্লুইচ গেট নির্মাণেকালে প্রধান সড়কে ধ্বস

পাইকগাছার লস্কর ইউনিয়নে খড়িয়া বাইনতলা স্লুইচ গেট নির্মাণেকালে প্রধান সড়কে ধ্বস। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে। 

ওই সময়ে যাত্রীবাহী ভ্যান দুর্ঘটনার শিকার হলেও কাহারোর কোন গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে স্থানীয় প্রকৌশলী বিভাগ রাস্তা টি সংস্কারে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাজ করছিলেন। স্থানীয়দের দাবি স্লুইচ গেট নির্মাণ সময় সাপেক্ষ। বিকল্প সড়ক বা বাইপাস সড়ক না করলে আবারও ওই সড়ক ধ্বসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।  

উপজেলার আলমতলা গড়ইখালী সড়কের বাইনতলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় বিকল্প রাস্তা তৈরী না করেই স্লুইচ গেট নির্মাণ করছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ফলে মঙ্গলবার বিকালে নির্মাণাধীন স্লুইসগেটের গভীর খাদের কারণে দেড় ফুট ঝুঁকিপূর্ণর সড়কের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ ফুট রাস্তার ধ্বসে পড়ে এবং বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর এলজিইডি'র তত্ত্বাবধায়নে বুধবার দিনভর সংস্কার করার পর রাস্তাটির সংযোগ স্থাপন করা গেলেও ভারি কোন যানবাহন যেতে পারছিল না। এর ফলে পার্শ্ববর্তী ব্রীজ নির্মাণ কাজের মালামাল সামগ্রী পরিবহন সহ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বর্ষা মৌসুমের আগেই বিকল্প রাস্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে বাইনতলা বাজার সহ আশপাশ এলাকা পানির তোড়ে রাস্তাটি ভেঙে ওই অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশংকায় রয়েছে এলাকাবাসী। উল্লেখ্য, উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক আলমতলা গড়ইখালী সড়ক। 

এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভ্যান, ইজিবাইক, নসিমন- করিমন, পিক আপ, মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। এ সড়ক দিয়ে গড়ইখালী ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ এবং পার্শ্ববর্তী কয়রা সহ আশপাশ এলাকার বহুমানুষ চলাচল করে থাকে। এমনকি এ সড়ক দিয়ে সুন্দরবনের ভ্রমন পিপাসু মানুষও যাতায়াত করে থাকে। এ সড়কের মাঝেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। যার একটি হচ্ছে বাইনতলা সংলগ্ন কড়ুলিয়া নদীর উপর নির্মাণ করা হচ্ছে এলজিইডি'র একটি নান্দনিক আধুনিক মানের ব্রীজ। ব্রীজ নির্মাণ এলাকা এবং বাইনতলা বাজার এর মধ্যবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে বাইনতলা স্লুইচ গেট। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে বিকল্প কোন রাস্তা তৈরী না করে জনগুরুত্বপূর্ণ যাতায়াতের প্রধান সড়কের পাশেই গভীর খাদ করে মাসের পর মাস ফেলে রেখেছে। ফলে মঙ্গলবার বিকালে যাতায়াতের রাস্তাটি গভীর খাদে ধ্বসে পড়ে। এর ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নছিমন চালক খড়িয়া গ্রামের কবিরুল ইসলাম জানান, এটি অত্র এলাকার অন্যতম একটি ব্যস্ততম সড়ক। 

এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মালামাল পরিবহন সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। রাস্তাটি ধ্বসে যাওয়ার ফলে বুধবার সকালে প্রাণহানী সহ চরম দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় একাধিক যানবাহন চালকরা। পথযাত্রী শফিউল ইসলাম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতো একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান বিকল্প রাস্তা তৈরী না করে প্রধান সড়কের সাথেই এতো গভীর খাদ করে নির্মাণ কাজ করা সঠিক হয়নি। এর ফলে এমন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ব্রীজ নির্মাণ কাজের সাহেব আলী জানান, সড়কটি ধ্বসে যাওয়ায় ব্রীজের মালামাল পরিবহন সহ নির্মাণ কাজ চরম ব্যাহত হয়। 

বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এলজিইডি কতৃর্পক্ষকে অবহিত করা হয় এবং বুধবার সকাল থেকে এলজিইডি'র তত্ত্বাবধায়নে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও স্বজল বিশ্বাস জানান, বিষয়টি জানার পর আমরা দুই জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ঘটনাস্থলে উপস্থিতি থেকেই যাতায়াতের রাস্তাটি মেরামত করি। সংবাদ পেয়েছি এবং এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার এ প্রতিনিধিকে জানান।

   


পাঠকের মন্তব্য