পাইকগাছায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু'গ্রুপের মারামারি

একজন জেলা পরিষদ সদস্যসহ ৫ জন আহত

পাইকগাছার সোলাদানায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মারামারিতে একজন জেলা পরিষদ সদস্যসহ ৫ জন আহত। ঘটনাটি ঘটেছে প্রথম দফায় শুক্রবার রাতে উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের চারবান্দা বাজার এবং দ্বিতীয় দফায় ওই দিন আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার দিকে পৌরসভার হাসপাতাল মোড়ে। 

স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ৫/৬ মাস পূর্বে একটি অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম ররি'র ভাইপো আজাদুর রহমান গাজী'র  (৪২) সাথে স্থানীয় আবির হোসেনের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্ক বিতর্ক থেকে মারামারির মত ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে পরবর্তীতে দুই গ্রুপের মধ্যে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় চারবান্ধা বাজারে আবির ও তার সঙ্গীদের দেখতে পেয়ে পূর্বের মারামারির ঘটনা প্রসঙ্গ নিয়ে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে আজাদুর রহমান। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে গুরুতর  আজাদুর রহমান গাজী (৪২) এবং অপর গ্রুপের সাগর সানা (২৬), আবির হোসেন (২৬) ও ইমরান গাজী (৩০) আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সকলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম রবি সহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাইকগাছায় একটি অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ সদস্য'র ভাইপো আজাদুর রহমান গাজী কে আবির হোসেন মারপিট করে। পরে শুক্রবার রাতে চারবান্ধা বাজারে আবির ও তার সঙ্গীদের দেখতে পেয়ে মারপিট করার বিষয়টি জানতে চায় আজাদুর রহমান। এক পর্যায়ে তারা তেড়ে উঠে আজাদুর রহমান কে মারপিট করে আহত করে। ঐ সময় আবির ও তার সঙ্গীরা এলাকায় জনরোষের স্বীকার হয়। এতে ভিলেজ পাইকগাছার শফিকুল সানার ছেলে সাগর সানা, পারবয়ারঝাপা গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে আবির হোসেন গাজী ও একই এলাকার লাল মিয়া গাজীর ছেলে ইমরান গাজী আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আনুমানিক রাত ৮টার দিকে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত আজাদুর রহমানের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ওই সময় জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম রবি ভাইপো আহত আজাদুর রহমানকে নিয়ে খুলনায় যাওয়ার পথে পৌরসদরের হাসপাতাল মোড় নামক স্থানে মোটর সাইকেল যোগে কিছু দুর্বৃত্ত এসে অতর্কিতভাবে  হামলা করে  প্রাইভেটকার ভাংচুর করে। আমাকে কে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ঐ রাতেই জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম ও তার ভাইপো আজাদুর রহমান কে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

এ বিষয়ে আবির হোসেন অস্বীকার করে জানান, আমরা আজাদুর রহমান কে মারপিট করিনি। বরং তারাই আমাদের মারপিট করে আহত করেছে। আমরা আহত হয়ে ভর্তি রয়েছে। হাসপাতাল মোড়ে কি হয়েছে জানি না। সর্বোপরি, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আহত জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম রবি'র সহোদর সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী। 

এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার অফিসার এবিষয়ে ইনচার্জ মো.ওবাইদুর রহমান জানান, উভয়ই পক্ষের কেউই এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।