লিংকরোডে পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করে ভবন নির্মাণ 

পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করে ভবন নির্মাণ 

পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করে ভবন নির্মাণ 

কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার ঝিলংজার লিংকরোডে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র নালাটি বন্ধ করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে উত্তর মুহুরীপাড়ার মৃত মোহাম্মদ হোসেন এর ছেলে জাফর আলমের বিরুদ্ধে।

লিংকরোডের এই নালাটি দিয়ে বর্ষাকালের পানি নিষ্কাশিত হয়। এটি বন্ধ হলে মার্কেট, দোকানপাট,কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কসহ পুরো এলাকা পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান,এই নালাটি ছোট একটা নদীর মতো ছিল। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই নালা দিয়ে পানি নিস্কাশন হওয়াতে জলাবদ্ধতা হয় না। শহরের ময়লা-আবর্জনা এই নালা হয়ে নদীতে পতিত হতো, কিন্তু লিংকরোড এলাকায় দিন দিন দালানকোঠা বৃদ্ধি পাওয়ায় নালাটি সংকীর্ণ হয়ে আসছে। তবে নালাটি দখল করে যে বহুতল ভবন নির্মাণ করে পানি চলাচল বন্ধ করবে, এটা কখনও মেনে নেয়া যায় না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানি নিষ্কাশনের নালা দখল করে ভবন নির্মাণের দৃশ্যটি যেনো কারও চোখে না পড়ে সেজন্য কালো পলিথিন ও ঢেউটিন দিয়ে ঘেরাও করে দিয়েছে ভবন নির্মাণকারী জাফর আলম।দিনরাত শ্রমিক দিয়ে ভবনের নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে পুরো নালাটি ঢেউটিন দিয়ে ঘিরে দখল করে রেখেছে। 

সচেতন মহল মনে করেন,স্থায়ীভাবে নালা বন্ধ হয়ে গেলে কক্সবাজার শহরের একমাত্র প্রবেশদ্বার লিংকরোড এলাকা বর্ষার পানিতে নিমজ্জিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কওক)এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।

ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কুদরত উল্লাহ সিকদার বলেন, বর্ষাকালে লিংকরোড এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র নালাটি বন্ধ হয়ে গেলে এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে।

এবিষয়ে জাফর আলম এর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করে মোবাইল মালিক চার্জে দিয়ে বাহিরে গেছে বলে এড়িয়ে চলেন।

উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)আরিফ উল্লাহ নিজামী বলেন, এভাবে কেউ নালা বা সরকারি জায়গা দখল করতে পারবে না।আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ফারজানা রহমান বলেন,এবিষয়ে আমি অবগত নয়,এখন জেনেছি।নালা দখলের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

   


পাঠকের মন্তব্য