দেশের কৃষি ও জলজ চাষে বিপ্লব ও তাঁর ব্যাখ্যা দিলেন ডঃ মিস্ত্রী

ডঃ অবিনাশ চন্দ্র মিস্ত্রী,সিনিয়র গবেষক রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট জেনেটিক এবং মোলিকুলার বায়োলজি

ডঃ অবিনাশ চন্দ্র মিস্ত্রী,সিনিয়র গবেষক রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট জেনেটিক এবং মোলিকুলার বায়োলজি

সম্প্রতি প্রজন্মকণ্ঠের ইংরেজি অনলাইন সংস্করণে 'ডঃ মিস্ত্রী কৃষি ও জলজ চাষে বিপ্লব ঘটাতে চান' প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে, এটি জনগনের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। প্রতিবেদনে ডঃ মিস্ত্রী নিজেই তার উদ্যোগ এবং ভিষন ব্যাখ্যা করেছেন। তার কমেন্টের মাধ্যমে তিনি তার উদ্যোগের উদ্দেশ্য এবং পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন।

একজন মন্তব্যকারীকে উদ্দেশ্য করে ডঃ মিস্ত্রী লিখেছেন- মুক্তো ভাই, আমার ফার্মের নামের মধ‍্যেই সবই আছে। এটি একটি বিশ্বমানের আধুনিক চিংড়ি শিল্প যার একটি উন্নত গবেষণা দল রয়েছে। এটি একটি সমন্বিত ফার্ম। সব ধরনের চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক শৈবাল, কোপেপড, মাইক্রো এবং ম্যাক্রো ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন। জুপ্লাঙ্কটন, একোয়ামিমিকেরী,  বিওমিমিকেরী, RAS, বায়োফ্লক, বটম ক্লিন সিস্টেম, স্লাগ ম্যানেজমেন্ট, পূর্ণ জৈব নিরাপত্তা, শতভাগ ভেজালমুক্ত, অ্যান্টিবায়োটিক-মুক্ত, এবং GMO-মুক্ত, এবং উন্নত মুক্তা চাষ এবং সম্পর্কিত গবেষণা কাজ সব ধরনের উপর করা হবে। ফিড ইন্ডাস্ট্রিসহ সবজির চাষ করা হবে (ইনডোর ও আউটডোর) কিন্তু বাগদা ও কাকড়া আমাদেরকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে। সেজন্য আমি আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের দিকে তাকালাম। 
 
ডাঃ মিস্ত্রি তার দৃষ্টিভঙ্গির বাংলায় অনুবাদের জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, উল্লেখ করেছেন- প্রজন্মকন্ঠ একটা স্বনামধন‍্য নিউজ মিডিয়া, এখানে আমার ভিষনটা আংশিক ইংরেজীতে প্রকাশিত হয়েছে এবং তাহা আপনি জনগনের সুবিধার্থে বাংলায় অনুবাদ করেছেন। এজন‍্য আপনাকে অনেক ধন‍্যবাদ। আপনাদের মত মানুষের সহযোগিতা পেলে আমি চিংড়ি শিল্পে বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটাতে চাই। আসুন সবাই মিলে একসাথে কাজ করি।

বাংলাদেশের অনুকূল পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি লিখেছেন- আমাদের বাংলাদেশের পানি, মাটি, তাপমাত্রা ও আবহওয়া সবই অত্যন্ত অনুকলে আছে। পত্রিকায় বিস্তারিতভাবে লেখা যায় না। এখানে পিএইচডি স্টুডেন্টরা গবেষনা করবে। একই সাথে ডাঃ মিস্ত্রি হরিণা চিংড়ির জেনেটিক রূপ তৈরি করে এবং বিশ্ব বাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভেনামির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার তার লক্ষ্যকে আরও বর্ণনা করেছেন, 
 
হরিনা চিংড়ির জেনেটিক ভেরিয়েন্ট তৈরী করে ভেনামির সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে হরিনার জন‍্য বিশ্বমার্কেটে শক্ত অবস্থান করে নিতে চাই। হরিনা স্বাদে ও গুনে ভেনামির চেয়ে অনেক ভালো। ভেনামির চেয়ে বড় ও হার্ডি লাইনার। ভেনামি ৩-৪ মাসে ৭০-৮০ পিস হয়, সেখানে হরিনা ২-২.৫ মাসে ৬০-৭০ পিস হয়। দামেও ভেনামির চেয়ে বেশী।

যাইহোক, তিনি ভেনামির ব্যাপক চাষের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন- কিন্তু ভয়ের বিষয় হল এই ভেনামি সর্বত্র চাষ করা ঠিক নয়। এই আমেরিকান ভেনামি যদি আমাদের নদীতে চলে যায়, তাহলে আমাদের হেরনগুলি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই মূল্যবান ভেনামিকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের পাশাপাশি সমবায় প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।

সামগ্রিকভাবে, ড. মিস্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি উদ্ভাবন, টেকসইতা এবং সহযোগিতার উপর ফোকাসসহ বাংলাদেশের কৃষি ও জলজ কৃষি খাতকে রূপান্তরের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে।

   


পাঠকের মন্তব্য