সুন্দরগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারপিটে বৃদ্ধ নিহতের অভিযোগ
![মারপিটে খাজা মিয়া নামে এক বৃদ্ধ নিহত](https://projonmokantho.com/upload/images/20240423_172328.jpg)
মারপিটে খাজা মিয়া নামে এক বৃদ্ধ নিহত
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের মধ্য সাহাবাজ গ্রামে জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের মারপিটে খাজা মিয়া নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল এ নিয়ে খাজা মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া বাদী হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বর্ণিত অভিযোগে উল্লেখ করেন- তার পিতা খাজা মিয়া গত ৫ মার্চ বিকালে জমির ক্ষেত দেখে শালক জাহেদুল ইসলামসহ বাড়ি ফিরছিলেন। প্রতিপক্ষ একই গ্রামের নুরুন্নবী মিয়া গংদের বাড়ির নিকটস্থ জনৈক শামীম মিয়ার মুরগী খামারের নিকট পৌঁছিলে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে মারপিট করে। এতে খাজা মিয়া গুরতর আহত হলে স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে পরবর্তী ৭ মার্চ সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক খাজা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্রে আরো জানা যায় ঘটনা সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়ার কথা বলে কোথাও কোন মামলা বা অভিযোগ করতে দেননি। ফলে পরদিন ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশের দাফন সম্পন্ন করেন স্বজনরা। পরবর্তীতে ইউপি সদস্য কর্তৃক মিমাংসার নামে কালক্ষেপণ করে।ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা বুঝতে পেয়ে বাবাকে হত্যার বিচার চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন ছেলে সেলিম মিয়। মামলার বাদীসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারবর্গ জানান, ৮৬ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষতি ও হয়রাণী করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রমূলক নানান পরিকল্পনা করে আসছিল। তা বুঝতে পেয়ে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে ইতঃপূর্বে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করি। এতে প্রতিপক্ষের লোকেরা আরো ক্ষীপ্ত হয়।
স্থানীয়রা জানান, খাজা মিয়া ও কাশেম আলীর পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ ও মামলা-মেকদ্দমা চলে আসছে।
ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান জানান, খাজা মিয়া ও কাশেম আলীর পরিবারের দ্বন্দ্ব সম্পর্কে জানা আছে। তিনি ঘটনার দিনক্ষণে মারামারী বিষয়টি জানেন। তিনি এ বিষয়ে উল্টো বক্তব্য প্রদানকালে এক প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান। কাশেম আলী গং আত্মীয় কি-না; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- 'এব্যাপারে আমি কিছু বলবোনা'। একজন ইউপি সদস্য হিসেবে কোন ধরণের বিবাদ হাতে নিতে পারেন আর কোন ধরণের বিবাদ উচ্চ পর্যায়ে যেতে পরামর্শ দেয়া দরকার; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ব্যর্থ হয়ে আসামী পক্ষ অবলম্বন পূর্বক মন্তব্য করেন।
পাঠকের মন্তব্য