পটুয়াখালীর খালে যুদ্ধ জাহাজের টর্পেডো; ঘিরে রেখেছে পুলিশ

২৭ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩ ফুট প্রস্থের একটি টর্পেডো

২৭ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩ ফুট প্রস্থের একটি টর্পেডো

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ভেসে এসেছে ২৭ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩ ফুট প্রস্থের একটি টর্পেডো। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গোপসাগর থেকে উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের মীরকান্দা গ্রামের ভাঙ্গার খালে টর্পেডোটি ভেসে আসে।

ভাসমান ওই বস্তুটি দেখতে ভিড় করে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, কাছ থেকে বস্তুটি দেখে ভারী কোনো অস্ত্র ভেবে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেন। বস্তুটির কাছ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সবাইকে। এবং যাতে ভেসে না যায়, এ জন্য রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় বস্তুটিকে। বস্তুুটির গায়ে ভারতের পতাকার রঙের ডোরাকাটা দেখে স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এটি ভারতের হতে পারে। 

মীরকান্দা গ্রামের বাসিন্দা রাব্বি মিয়া বলেন, আমরা এ ধরনের টর্পেডো আগে কখনো দেখিনি। এটি মনে হচ্ছে সাবমেরিন মিসাইল। নেটে এ ধরনের মিসাইল দেখেছি। এটি অনেক ভাড়ি, অনেক মানুষ এখানে এটি দেখতে এসেছেন। পুলিশ এসে সবাইকে এই স্থান থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। এটি হয়তো কোনো ভাড়ি অস্ত্র হতে পারে। 

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগর থেকে রাবনাবাদ চ্যানেল হয়ে এই টর্পেডোটি ভাঙ্গার খালে প্রবেশ করতে পারে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কোষ্টগার্ডের সদস্যরা ছবি দেখে এটি প্রাথমিকভাবে টর্পেডো বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, টর্পেডো হচ্ছে এক ধরনের স্বচালিত অস্ত্র, যা পানির নিচে বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করে এবং লক্ষবস্তুর সংষ্পর্শে বা কাছাকাছি আসার পর বিস্ফোরিত হতে পারে। এটি পানির নিচে চালিত হয় এবং পানির নিচে বা ওপরে উভয় স্থান হতে নিক্ষেপ করা যায়। এগুলোকে বিভিন্ন প্রকারের উৎক্ষেপকের দ্বারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নিক্ষেপ করা সম্ভব। 

   


পাঠকের মন্তব্য