হুইপ চুন্নুর অভিযোগের জবাবে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন   

ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমন

ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমন

ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমন তার সংসদীয় বেতন ও সরকারি বরাদ্দ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে প্রকাশ করায় সমালোচনার মুখে পড়ায় জাতীয় সংসদে উত্তেজনা বেড়েছে। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় দুই সংসদ সদস্যের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের সূত্রপাত হওয়ায় বিতর্ক আরও তীব্র হয়।

ব্যারিস্টার সুমন তার সংসদীয় বেতন এবং সরকারী বরাদ্দ সামাজিক মিডিয়াতে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তকে রক্ষা করেছেন, স্বচ্ছতা এবং জনসাধারণের কাছে জবাবদিহিতাকে তার প্রেরণা হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কীভাবে সরকারী তহবিল ব্যবহার করছেন তা জানার অধিকার রয়েছে। 

বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু সুমনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন, তার বিরুদ্ধে সংসদীয় প্রটোকল লঙ্ঘন এবং সংসদ সদস্যদের আর্থিক তথ্যের গোপনীয়তার সাথে আপস করার অভিযোগ করেছেন। সুমনের প্রকাশ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে অভিযোগ করেন চুন্নু।

চুন্নুর অভিযোগের জবাবে, ব্যারিস্টার সুমন চুন্নুর বিরোধীতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন, বিরোধী নেতা হিসেবে তার অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সুমন চুন্নুর বিরুদ্ধে সরকারকে জবাবদিহি করার দায়িত্বে অবহেলা করার এবং বিরোধী দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের দিকে মনোনিবেশ করার অভিযোগ করেছেন।

ব্যারিস্টার সুমন স্পষ্ট করেছেন যে তার প্রাথমিক পেশা আইনী ক্ষেত্রে, রাজনীতি নয়, একজন এমপি হিসাবে তার ভূমিকায় নৈতিক আচরণ এবং স্বচ্ছতার প্রতি তার অঙ্গীকারের উপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের জন্য জবাবদিহি করার অঙ্গীকার করেন।

দ্বন্দ্বটি জাতীয় সংসদের মধ্যে একটি অনির্ধারিত আলোচনায় ছড়িয়ে পড়ে, চুন্নু সরাসরি তার নাম না নিয়ে সুমনের কাজের সমালোচনা করেছিলেন। চুন্নু সুমনের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন, যা তিনি দাবি করেছিলেন যে সম্মিলিতভাবে এমপিদের খ্যাতি কলঙ্কিত হয়েছে।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমন এবং বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর মধ্যে সংঘর্ষ জাতীয় সংসদের মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সংসদীয় অর্থের সঠিক পরিচালনার বিষয়ে বৃহত্তর উত্তেজনাকে তুলে ধরে। বিতর্কটি উন্মোচিত হওয়ার সাথে সাথে, এটি সংসদীয় মর্যাদা বজায় রাখার এবং সংসদ সদস্যদের গোপনীয়তাকে সম্মান করার পাশাপাশি সরকারী ক্রিয়াকলাপের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার গুরুত্বকে বোঝায়।

   


পাঠকের মন্তব্য