সাড়ে ১২ ইয়াবার গন্তব্য কোথায়, স্বীকার করলেন প্রধান আসামি  

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় একটি নৌযান থেকে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় প্রধান আসামি মোহাম্মদ শাহজাহান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কক্সবাজারের চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে শাহজাহান বলেন,প্রায় ৩৭ কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবার চালানটি মিয়ানমার থেকে আনা হয়। চালানটি নিয়ে আসে ১২ জনের একটি দল। এই দলেরই একজন ঈদগাঁও উপজেলার বাসিন্দা মো. সোহেল। সোহেলের মাছ ধরার নৌযানে চালানটি প্রথমে আনা হয়। পরে সোহেলের নৌযান থেকে পাঁচটি ড্রামে ভরে এসব ইয়াবা তাঁর নৌযানে তুলে দেওয়া হয়েছে।

শাহজাহান বলেন, ২৮ এপ্রিল সকালে সোহেল তাঁকে খুটাখালীর লালঘোনা ব্রিজের নিচে খালে যেতে বলেন। নৌযান নিয়ে সেখানে যাওয়ার পর সোহেলের নৌযান থেকে খুটাখালী এলাকার সাজ্জাদ, মহেশখালীর আবু তাহেরসহ কয়েকজন পাঁচটি ড্রাম তাঁর নৌযানে তুলে দেন। জাকির নামের এক ব্যক্তিও ইয়াবার চালানটি আনার সঙ্গে জড়িত। চট্টগ্রামে জাকিরের এক চাচাতো ভাইয়ের কাছে এসব ড্রাম হস্তান্তর করতে বলা হয়েছিল।

তখন খালে পানি কম থাকায় নৌযানটি চালানো যাচ্ছিল না জানিয়ে শাহজাহান বলেন, নৌযান ছাড়তে জোয়ারের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। এ সময় পুলিশ নৌযানটি ঘিরে ফেলে এবং ইয়াবাগুলো উদ্ধার করে। তবে এর আগেই একজনের সংকেত পেয়ে তিনি পালিয়ে যান।

পুলিশ জানায়, গত ২৯ এপ্রিল গভীর রাতে চকরিয়া থানার পুলিশ মহেশখালী চ্যানেলে অভিযান চালিয়ে মাছ ধরার একটি নৌযান থেকে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবার চালানটি জব্দ করে। এ সময় পাচারকারীরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান। পুলিশের দাবি, কক্সবাজারে এটি এযাবৎকালে উদ্ধার হওয়া ইয়াবার দ্বিতীয় বৃহত্তম চালান। এ ঘটনায় পুলিশ শাহজাহানকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন-চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ঘটনার পর শাহজাহান আত্মগোপনে চলে যান। পুলিশ ৩০ এপ্রিল রাতে শাহজাহানকে টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে ১ মে বিকেলে শাহজাহান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। শাহজাহান কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, মিয়ানমার থেকে আনার পর ইয়াবার চালানটি চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। শাহাজাহান চালানটি পাচারের অন্যতম হোতা। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এবং আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি ইয়াবার চালানটির সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেছেন। শাহজাহান বর্তমানে কক্সবাজার কারাগারে রয়েছেন।

   


পাঠকের মন্তব্য