সুন্দরগঞ্জে ১৪ পরীক্ষার্থীর ১৩ শিক্ষক, পাস করেনি কেউ

ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জেলার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শতভাগ অকৃতকার্যের তালিকায় রয়েছে। ১৩ জন শিক্ষকের এ বিদ্যালয়টি থেকে ১৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৯ সাল থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ ১৩ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী রয়েছেন। গত বছর এই বিদ্যালয় থেকে ১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৩ জন পাশ করেছিল।

স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যালয়টি প্রতিদিন খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার প্রতি তেমন একটা আগ্রহ নেই। এছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীরা গল্প-গুজব করে সময় কাটিয়ে বাড়িতে চলে যান। এমনকি বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয় না আসার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, ১৬ জন শিক্ষক কর্মচারী স্কুলে পরীক্ষার্থী ছিল মাত্র ১৪ জন। একজনও পাস করার বিষয়টি দুঃখজনক। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা প্রতিদিন আসে কিনা ঠিকমতো ক্লাস নেয় কিনা কিনা সেটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেখা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম সরকার বলেন এবার এসএসসি  ১৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। প্রত্যেকজন শিক্ষার্থী পাশ করার যোগ্যতা রাখে। কি কারণে তাদের রেজাল্ট ফেল আসলো আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা শিক্ষা বোর্ডে এ বিষয়ে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করবো।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪ জন পরীক্ষা দিয়ে কেউ পাস করেনি। বিষয়টি দুঃখজনক। ইতোমধ্যে ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। শিক্ষার্থীরা যে যে বিষয়ে ফেল করেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

   


পাঠকের মন্তব্য