শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

ঢাকা, ১৭ মে, ২০২৪ – রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশের স্থপতি ও পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক ভাষণে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও নেতৃত্ব
 
রাষ্ট্রপতি অনিশ্চয়তা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিবেশের মধ্যে ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফিরে আসার ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের দিকে বাংলাদেশের যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হয়। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে একটি অভূতপূর্ব অভ্যর্থনা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল, যেখানে লাখ লাখ বাংলাদেশি তাকে স্বাগত জানাতে প্রতিকূল আবহাওয়ার সাহস করেছিলেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার বর্ণনা করেন, যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় গণহত্যা থেকে বেঁচে যান। ব্যক্তিগত ক্ষতি এবং বছরের পর বছর নির্বাসনে থাকা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা তার বাবার উত্তরাধিকার অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জন

  1. দেশে ফেরার পর থেকে শেখ হাসিনা অসংখ্য জাতীয় অর্জনে ভূমিকা রেখেছেন। তার নেতৃত্বে, বাংলাদেশ একটি 'ডিজিটাল বাংলাদেশে' রূপান্তরিত হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি 'স্মার্ট বাংলাদেশ' হওয়ার পথে রয়েছে। তার মেয়াদে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক মাইলফলক দেখা গেছে:
  2. গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার: তার প্রত্যাবর্তনের পরে, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন, যা ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারের পতনের চূড়ান্ত পরিণতি পায়।
  3. শান্তি ও কূটনীতি: তার সরকার ভারতের সাথে ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি এবং গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের পথ প্রশস্ত করে ক্ষতিপূরণ আইন বাতিল করেছে।

 
অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন: স্ব-অর্থায়নকৃত পদ্মা সেতু, ঢাকার মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল এবং অন্যান্য মেগা প্রকল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করেছে এবং জনসাধারণের কষ্ট কমিয়েছে।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: শেখ হাসিনার উদ্যোগ বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দিয়েছে, দেশের মর্যাদা স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছে।
ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টি 
 
রাষ্ট্রপতি 'রূপকল্প ২০৪১' এবং 'ডেল্টা প্ল্যান-২১০০'-এর মতো উচ্চাভিলাষী কর্মসূচিতে আবদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন। টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত দেশে রূপান্তর করাই এই পরিকল্পনাগুলোর লক্ষ্য।

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা

কোভিড-১৯ মহামারী এবং চলমান আন্তর্জাতিক সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে। সরকারের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও বিনিয়োগ প্রকল্প টেকসই উন্নয়নের দিকে বাংলাদেশকে একটি স্থিতিস্থাপক পথে স্থাপন করেছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের অব্যাহত স্বাস্থ্য, সুখ এবং সাফল্য কামনা করে তার বক্তব্য শেষ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘস্থায়ী উত্তরাধিকার এবং শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব জাতিকে একটি সোনালী ভবিষ্যৎ অর্জনে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।

   


পাঠকের মন্তব্য