সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে স্হানীয় এক যুবক আহত

জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

কক্সবাজার লাইট হাউজ এলাকার কটেজ জোনের নিসর্গ নামের একটি কটেজে ঢুকে এক জয়নাল আবেদীন নামক একজনকে ছুরিকাঘাত করে টাকা ও মোবাইল ছিনাতাই করে নিয়েছে লাইট হাউজ এলাকার এক চিহ্নিত ছিনতাইকারী চক্র। গতকাল শনিবার ১৮ মে বিকালে এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাত হওয়া ব্যাক্তি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মো: জয়নাল আবেদীন জানান,আমি কক্সবাজারের ঈদগাও উপজেলার জালালবাদ এলাকার বাসিন্দা।  মূলত নিসর্গ হোটেলের ব্যবস্থাপক মো: জাহেদ আমার নিটক আত্বীয় হয়। আমি একটি চাকরীর জন্য তার কাছে তদবির করতে আসলে দীর্ঘ আলাপ শেষে তিনি আমাকে রুমে বসিয়ে বাইরে যান। 

এ সময় লাইট হাউজ এলাকার শীর্ষ ছিনতাইকারী মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আকতার কামাল ও সেলিমের ছেলে বাবু  অতর্কিতে ঢুকে আমাকে কলার চেপে ধরে টাকা পয়সা যা আছে বের করে দিতে বলে। আমি দেরী করায় তারা আমাকে ছুরিকাঘাত করে আমার হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলে।

এ সময় আমার পকেটে থাকা ২২ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে আমাকে লাথি মেরে পালিয়ে যায়। আমি চিৎকার করলে জাহিদ দৌড়ে এসে তাদের ধরে ফেলে এ সময় তারা মোবাইলটি ফেলে দিয়ে টাকা গুলো নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন আমাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,মৃত নুরুল ইসলাম ও একজন পেশাদার ডাকাত ছিল,তার ছেলে আকতার কামাল,আমিন ,সাইফুল সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী।  তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও  আছে, আকতার কামালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ৬ টি মামলা আছে।

কুখ্যাত ছিনতাইকারি আকতার কামাল এবং বাবু সহ একটি ছিনতাইকারী সিন্ডিকেট প্রায় সময় কটেজ জোনে কোন অপরিচিত লোক বা পর্যটক আসলে ছিনতাই করে থাকে। তাদের হাতে সব সময় ছুরি বা দেশীয় অস্ত্র থাকে। কোন কথাবার্তা ছাড়াই তারা মানুষকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।  এসব পেশাদার অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবী করেন কটেজ জোন এলাকার ব্যবসায়ীরা।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়।ট্যুরিস্ট পুলিশ জানতে পারে ভিকটিম একজন কক্সবাজারের বাসিন্দা। সে তার এক আত্নীয়র কাছে আসছিল চাকুরির জন্য। 

ঘটনাটি পর্যটন এলাকায় ঘটেছে,তাই ট্যুরিস্ট পুলিশ দ্রুত রেসপন্স করেছে।এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ভিকটিম পর্যটক বা স্হানীয় লোক হোক, তার উপর আঘাত করা অপরাধ। ভিকটিম যদি ট্যুরিস্ট পুলিশের সহযোগিতা চাই,তাহলে ট্যুরিস্ট পুলিশ সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা করবে। 

তিনি আরও বলেন, পর্যটন জোনে যেসব ছিনতাইকারী ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেয়েছে,তারা বিভিন্ন হোটেলে আস্তানা গেড়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। আজকেও কুমিল্লা রিসোর্ট নামক একটি হোটেল থেকে একজন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে।ছিনতাইকারীরা বিভিন্ন হোটেলে লুকিয়ে থেকে অভিনব কায়দায় ছিনতাই করছে।ইতোমধ্যে আমরা অর্ধশত চিহ্নিত ছিনতাকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।ছিনতাইজারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।ছিনতাইকারীরা হোটেলে মোটেলে যেখানে লুকিয়ে থাকুক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

   


পাঠকের মন্তব্য