কক্সবাজারে পর্যটন স্পট থেকে ছিনতাইকারীসহ আটক-৯

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের সাড়াশি অভিযান

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের সাড়াশি অভিযান

বাংলাদেশের বৃহৎ পর্যটন স্পট সাগর নন্দিনী কক্সবাজার। এই পর্যটন জোন থেকে ছিনতাইকারী সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে জিরোট্রলারেন্স ঘোষণা করে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন। এসব অপরাধীদের ধরতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সাড়াশি অভিযান শুরু করে। এপর্যন্ত হোটেল মোটেল জোন ও সৈকত থেকে ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত অর্ধশত অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। 

চলমান এ-অভিযানে গতকাল (১৮ মে) রাতে হোটেল জোনে টমটম (ইজিবাইক) নিয়ে ছিনতাইয়ের সময় এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ধৃত ছিনতাইকারী দীর্ঘদিন ধরে টমটম চালকের ছদ্মবেশে ছিনতাই করে আসছিল বলে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে একজন কুখ্যাত ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতি প্রস্তুতি ও চুরির মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিকার করে। একইদিন ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে,সমুদ্র সৈকতে আগত নারী পর্যটকদের ইভটিজিং করা হচ্ছে।অভিযোগের ভিত্তিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম ওই অপরাধীকে আটক করেছে।

অন্যদিকে সমুদ্র সৈকতে মদ্যপান করে ঘোরাফেরা করে পর্যটক হয়রানি ও হোটেল ওশান এম্পেরিয়াল ও কুমিল্লার ধানসিঁড়ি থেকে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে নারী-পুরুষ সহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজার সদরের জেলগেইট পশ্চিম পাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত,ঈদগাঁও উপজেলার ৭নং ওয়ার্ডের মো:নুরুল হাকিম এর ছেলে মোঃ ইয়াছিন, একই উপজেলার ৮নং ওয়ার্ডের মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে ইয়াছিন,কক্সবাজার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পাহাড়তলীর মো: শাকিল এর মেয়ে হুমাইরা, পৌরসভার বৈদ্যঘোনার মৃত নুর হোসেন এর মেয়ে কলি, চকরিয়া উপজেলা কাকারা এলাকার মো: আবু নোমান এর ছেলে আলী হায়দার, বড়গুনা জেলার বেতাগী থানার হোসনাবাদ এলাকার মৃত নেকাব্বর এর মেয়ে সোনিয়া, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার ইসমাইল এর মেয়ে ফারিয়া ও চাঁদপুর জেলার খেরুদিয়া থানার মৃত মিজান এর মেয়ে সুমি।

অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, সৈকত ও হোটেল মোটেল জোনে ছিনতাই সহ অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ৯ জন অপরাধীকে আটক করা হয়েছে। পর্যটন জোনকে নিরাপদ রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরোট্রলারেন্স ঘোষণার পর অর্ধশত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। হোটেল মোটেল জোন ও সৈকতে যেসব ছিনতাইকারী চক্র রয়েছে। এইসব ছিনতাইকারীরা একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে ছিনতাই করে আসছিল। আবার অনেক ছিনতাইকারী রয়েছে তারা বিভিন্ন হোটেলে লুকিয়ে থেকে অভিনব কায়দায় ছিনতাই করে। ছিনতাইজারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

ছিনতাইকারীরা হোটেলে মোটেলে যেখানে লুকিয়ে থাকুক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

   


পাঠকের মন্তব্য