৪৫,০০০ রোহিঙ্গা তাদের বাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশ সীমান্তে  

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, জান্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে প্রায় ৪৫,০০০ ব্যক্তি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়, মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রোসেলের মাধ্যমে, বেসামরিক হত্যা এবং বাড়িঘর ধ্বংস সহ নৃশংসতা তুলে ধরে পরিস্থিতির বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সাংবাদিকদের কাছে এলিজাবেথ থ্রোসেলের বিবৃতি অনুসারে, সংঘাত বুথিডং এবং মংডুতে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিককে তাদের বাসস্থান ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। বিশেষ করে উদ্বেগজনক রোহিঙ্গা জনসংখ্যার দুর্দশা, যেখানে আনুমানিক ৪৫,০০০ জন বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নাফ নদীর তীরে আশ্রয় নিচ্ছেন। মংডুতে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে, সেনা পোস্টের উপস্থিতি এবং দুর্বল রোহিঙ্গা জনসংখ্যার কারণে আরও বৃদ্ধির গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের অবনতিশীল পরিস্থিতির নিন্দা জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। তারা বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সহিংসতার অপরাধীদের জবাবদিহি করতে সব পক্ষের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। অধিকন্তু, এই দেশগুলো মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবিক সংকটের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে, অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানায় এবং এই অঞ্চলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানায়।

এলিজাবেথ থ্রোসেল এবং যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। উপরন্তু, তারা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সংহতির গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। সংকট মোকাবেলায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘব করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও মঙ্গল নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরী মনোযোগ এবং সমন্বিত প্রচেষ্টার দাবি করে। সহিংসতা বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে, অপরাধীদের জবাবদিহি করতে হবে এবং যাদের প্রয়োজন তাদের সহায়তা প্রদান করতে হবে। সিদ্ধান্তমূলকভাবে কাজ করতে ব্যর্থতা এই অঞ্চলে উদ্ভূত মানবিক বিপর্যয়কে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

   


পাঠকের মন্তব্য