মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আজ দিল্লি পৌঁছেছেন। তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ কর্তৃক প্রসারিত আমন্ত্রণটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উষ্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতাকে চিহ্নিত করে।

শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সকাল ১১টা ৫১ মিনিটে (স্থানীয় সময়) নয়াদিল্লির পালাম এয়ারফোর্স স্টেশনে অবতরণ করেন। পৌঁছানোর পর, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (CPV এবং OIA) মুক্তেশ পরদেশী, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান সহ কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।

নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনার বেশ কিছু ব্যস্ততার কথা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রবিবার সন্ধ্যা ৭:২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক-এক বৈঠক। পরে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির দেওয়া রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেবেন। অতিরিক্তভাবে, রবিবার নয়াদিল্লিতে তার জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম সারিবদ্ধ রয়েছে।

শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বন্ধুত্ব স্পষ্ট হয়েছিল কারণ মোদি গত সপ্তাহের শুরুতে টেলিফোন কথোপকথনের সময় আমন্ত্রণটি বাড়িয়েছিলেন। শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তুলে ধরে। মোদি, হাসিনার অভিনন্দন বার্তা স্বীকার করে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক এবং ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের উপর জোর দেন। উভয় নেতা তাদের পুনর্নবীকরণ আদেশের অধীনে এই সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা ছাড়াও, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল সহ অন্যান্য বিশ্ব নেতারা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে 8,000 জনেরও বেশি বিশিষ্টজনের অংশগ্রহণ প্রত্যক্ষ হবে।

মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার উপস্থিতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভাগ করা দৃঢ় বন্ধনকে স্পষ্ট করে। এই সফর শুধু নেতৃবৃন্দের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কই প্রতিফলিত করে না বরং উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিরও ইঙ্গিত দেয়।

   


পাঠকের মন্তব্য