পাইকগাছা উপজেলা ভোটের হারে বিভ্রান্তিতে জনগন

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।নির্বাচন পরবর্তী কয়েকটি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফলে শতকরা হার নিয়ে এলাকার জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমে ৮০% এর উপরে ভোট কাস্টিং এর কথা বলা হয়েছে। 

তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কয়েকজন  অপরিপক্ক ব্যক্তিরা এ সমস্ত ফলাফল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে জনগণের মধ্যে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। যাহা জনগনকে যে কোন পরিস্থিতিতে বিপদের মধ্যে ফেলে দিতে পারে।  এখানে কেআরআর মানিক তলা কেন্দ্রে মোট ভোটার ৬ হাজার ১শত ৩৮, ভোট পড়েছে ২ হাজার ২শত ২২ভোট, যা শতকরা হার ৩৬.২০%। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৮৪% এর কথা বলা হয়েছে। 

কপিলমুনি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৫ হাজার ০৭৫ জন, প্রয়োগ হয়েছে ২হাজার ৪শত ১২টি, যা শতকারা হার ৪৭.৫২ %। কিন্তু বলা হয়েছে ৮০% ভোট পড়েছে। হাউলি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৭শত ০৫ টি, ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১৩শত ৮০টি, যা শতকরা ৩৭.২০%। রেজাকপুর কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৩ শত ৪৯টি, ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১১শত ১৮টি, যা শতকরা ৪৭.৫৯ %।  নাবা কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৭ শত ১১টি, ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১ হাজার ২ শত ৯৫ টি, যা শতকরা হার ৪৭.৭৬%।

অথচ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপরিপক্ক ভাবে কাস্টিং ভোট শতকরা ৮০% থেকে ৮৪% ইত্যাদি লিখে পোস্ট করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। সঠিক তথ্য প্রচার না করার কারণে মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। 

এই বিভ্রান্তি থেকে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

   


পাঠকের মন্তব্য