ভূরুঙ্গামারীতে আমনের বাম্পার ফলন তবুও হতাশায় কৃষক 

ভূরুঙ্গামারীতে আমনের বাম্পার ফলন তবুও হতাশায় কৃষক 

ভূরুঙ্গামারীতে আমনের বাম্পার ফলন তবুও হতাশায় কৃষক 

সুসংবাদ হলো, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে; আর দুঃসংবাদ হলো, এবারও ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন কৃষক। 

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর দেশে ৫৯ লাখ হেক্টর জমিতে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও উৎপাদন হয়েছে ৫৯ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে; অর্থাৎ প্রায় ৫৬ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আমনের চাষাবাদ হয়েছে। গড় ফলন হেক্টরে ৩ দশমিক ১১৯ টন। তবে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় কৃষকের তেমন লাভ হবে না বলে জানা গেছে।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় আমনের বাম্পার ফলন হয়। তুলনামূলক উচ্চ মূল্যে ধান বিক্রি হলেও ব্যয়ের তুলনায় আশানুরূপ কৃষকের লাভ হচ্ছে না মোটেও। এবারের আমনের মৌসুমে উপজেলায় আমনের আবাদ হয় ব্যাপক। বিশেষ করে চরাঞ্চলে বন্যার প্রভাব কম হওয়ায় ঝুঁকিহীনভাবে চাষ করেন কৃষকরা।  বন্যার প্রভাব কম থাকলেও ইউরিয়া সারের সংকটে বেশ ভোগান্তিতেই ছিলেন তারা। তবে অনেক ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রমের তৃপ্তি আসে ফসলের বাম্পার ফলন দেখে। আমনের মৌসুম শেষের দিকে; ধান বিক্রি করছেন ১০৫০-১০৮০ টাকা মণ। অংক দেখে বেশ সুবিধাজনক মূল্য মনে না হলেও বাজার মূল্য মন্দ নয়।

কিন্তু অলাভজনকও বটে, কেননা তাদের এই মৌসুমে পূর্বের তুলনায় ব্যয়ের হার অনেক বেশী। চাষ করা, প্রয়োজনীয় সম্পূরক সেচ, শ্রমিকদের মুজুরী সবই ছিল উচ্চ মূল্যের। তাই ব্যয়ের তুলনায় আয় আরো বেশী হলে খুশি হতেন কৃষক।

মাহবুবুর রহমান প্রজন্মকণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে সব কিছুর মুল্য বেশি ফলে আবাদে বেশী একটা লাভ হচ্ছে না। ইউরিয়া সার কিনতে হয়েছে ১৩০০-১৪০০ টাকা বস্তা।তাই এবার  অনেক বেশি হয়েছে।

জহুরুল ইসলাম প্রজন্মকণ্ঠকে বলেন, এবার শ্রমিকের মজুরী অনেক বেশী হওয়ায় যে দাম পেয়েছি তাতে আশানুরূপ লাভ হচ্ছে না। কৃষকদের দাবি তাদের পরিশ্রমের যেন ন্যায্য মূল্য দেওয়া হয়।

   


পাঠকের মন্তব্য