ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা

ইরানী রেভল্যুশনারি গার্ডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল ব্রিটেন  

ইরানের এলিট রেভল্যুশনারি গার্ডকে 'সন্ত্রাসী গোষ্ঠী' হিসেবে ঘোষণা করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে একটি ঘোষণা আসতে পারে। যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তামন্ত্রী টম টুগেনডাট এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান এই উদ্যোগের সমর্থক। ইরানের এলিট রেভল্যুশনারি গার্ডকে 'সন্ত্রাসী গোষ্ঠী' হিসেবে ঘোষণা করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। 

রেভল্যুশনারি গার্ডকে 'সন্ত্রাসী গোষ্ঠী' ঘোষণা করা মানে- এ সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, মিটিংয়ে অংশ নেয়া, জনসমক্ষে লোগো বহন করা ফৌজদারি অপরাধ। রয়টার্স টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে মন্তব্য চেয়েছে। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে অনুরোধের জবাব দেয়নি। ইরানে কয়েক মাস ধরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে।

গত সপ্তাহে ইরানের বিপ্লবী গার্ডরা বিক্ষোভে সম্পর্কিত যুক্তরাজ্যের সাতজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কয়েকজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।রেভল্যুশনারি গার্ডকে 'সন্ত্রাসী গোষ্ঠী' ঘোষণা করা মানে- এ সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, মিটিংয়ে অংশ নেওয়া, জনসমক্ষে লোগো বহন করা ফৌজদারি অপরাধ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গত ২৮ ডিসেম্বর বুধবার ইরানকে দ্বৈত নাগরিকদের আটক বা গ্রেফতার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

'কূটনৈতিক সুবিধা' পাওয়ার জন্য এই গ্রেফতার কৌশল ব্যবহার করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে দেশটির কুর্দি মেয়ে মাহশা আমিনি মারা যান। তার মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গত ২৮ ডিসেম্বর বুধবার ইরানকে দ্বৈত নাগরিকদের আটক বা গ্রেফতার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গত বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ইরানকে দ্বৈত নাগরিকদের আটক বা গ্রেফতার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।মাহশার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরে ইরানে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ দমন করছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড ক্র্যাকডাউনের অগ্রভাগে রয়েছে। বিক্ষোভ দমনে এরই মধ্যে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে বিপ্লবী গার্ডদের কালো তালিকাভুক্ত করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জার্মানি রেভল্যুশনারি গার্ডকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে কিনা তা খতিয়ে দেখছে।