স্মার্টফোনে আসক্তি ও কোন পথে স্ক্রিনবন্দী তরুণ প্রজন্ম 

স্মার্টফোনে আসক্তি ও কোন পথে স্ক্রিনবন্দী তরুণ প্রজন্ম 

স্মার্টফোনে আসক্তি ও কোন পথে স্ক্রিনবন্দী তরুণ প্রজন্ম 

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে মোঃ রাকিব : আমাদের সমাজে অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা কিনা জীবনে কি হতে চায় তার কোন লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নেই, যার কারণে পরবর্তি জীবন ধ্বংস, পেক্ষাপটে অনেক মা-বাবাই তাদের সন্তানের খোঁজ- খবর রাখেন না। কখন কী করছে কোন বিষয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই তাদের। 

অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা বাবা-মায়ের কাছে বিভিন্ন বাহানা ধরে স্মার্ট ফোন কিনার জন্য, তার পরে বাবা- মা অনেক কষ্টের টাকা ব্যায় করে স্মার্ট ফোন কিনে দেয়, সরকার অনলাইন ক্লাসের নির্দেশনা দিয়েছেন ঠিকই কিন্ত তার কতটা কার্যকর হচ্ছে তা কি কেউ জানি ? লক্ষ্য করা যায় যে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি বিভিন্ন গেমস কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা অন্যন্য সাইটে বেশ সময় পার করছে। আদৌও ক্লাস করছে কিনা কে জানে ? কেননা পরিস্থিতি এমন যে ক্লাসে উপস্থিত থেকে ঘুমালে বা অন্য কাজ করলেও বোঝার উপায় নেই। 

অপরদিকে অনলাইনে ক্লাসের বাহানায় মা-বাবাকে বোকা বানিয়ে অনেক সময় ব্যয় করেছে অনলাইন গেমস অথবা চ্যাটিংএ। যার কারণে অনলাইনে আসক্ত হয়ে পরেছে। এমন কি তাদের আচার-আচরণও পরিবর্তন হচ্ছে। দিন দিন মেজাজ খিটখিটে স্বভাবের হচ্ছে এবং রাত যাগার প্রবণতা বেরেছে ও বিভিন্ন অপরাধের সাথে জরিত হচ্ছে। বাস্তব জিবন থেকে তারা সবসময় দূরেই রয়ে যাচ্ছে। শহর বা গ্রামের পাঁচ থেকে সাত বছরের বাচ্ছারাও ফ্রি ফায়ার কিংবা পাবজিতে এবং অনন্য গেমসে সময় পার করছে। 

শুধু এইটুকুই নয়, দেখা যায় সদ্য বেড়ে ওঠা শিশুর কান্না থামাতেও হাতে ফোন তুলে দেওয়া হচ্ছে যার ফলে তারা ছোট থেকেই ফোনের প্রতি আসক্ত হচ্ছে।

এমন অবস্থায় সমাজের সচেতন মহল মনে করছেন, মা- বাবার উচিৎ তাদের ছেলে- মেয়েদের কি তার জিবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য তারা ভবিষ্যতে কি হতে চায় সে বিষয় আলোচনা করে সেই অনুযায়ী শিক্ষা অর্জন করা, নিয়মিত খোঁজ- খবর রাখা জরুরী। এতো সময় ধরে অনলাইনে ক্লাস করছে নাকি অন্য কিছু করছে এসব বিষয়ে নজরদারি করা দরকার।

তারা আরও মনে করেন, ইন্টারনেট আসক্তি কিন্ত মাদকাসক্তির মতোই একটি সমস্যা। যার কারণে অনেক ছেলেমেয়েই বিপথে চলে যায়। তাই আপনারা সস্তনদের প্রতি যতœবান হোন। সন্তানদের ইন্টারনেট আসক্তি কমাতে একমাত্র পরিবারই গুরুপ্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে।   

   


পাঠকের মন্তব্য