ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়

ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল

ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল

সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট খারিজ করে সম্প্রতি হাইকোর্ট ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রেখে একটি রায় দিয়েছেন। তিন বিচারপতির বেঞ্চ কর্তৃক ঘোষিত এই রায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামের মর্যাদা পুনঃনিশ্চিত করে এবং সংবিধানের সাথে এর সামঞ্জস্যতা নিয়ে রিট আবেদনকারীর উদ্বেগের সমাধান করে।

রায়ের মূল পয়েন্ট

হাইকোর্ট ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে চ্যালেঞ্জ করে রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিল যে এটি সংবিধানের লঙ্ঘন করে না বা এর মৌলিক কাঠামোকে দুর্বল করে না। রায়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামের আইনি মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত তিন বিচারপতির হাইকোর্ট বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে রিটটি খারিজ করতে সম্মত হন। তবে উল্লেখ্য, বিচারপতি আশরাফুল কামাল রায়ে পৃথক পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

প্রায় তিন দশক আগে ১৯৮৮ সালে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। বছরের পর বছর ধরে চলা আইনি প্রক্রিয়ার পর অবশেষে হাইকোর্ট তার রায় প্রদান করে, দীর্ঘ দিনের আইনি বিরোধের অবসান ঘটিয়ে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৮ সালে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেন। অনুচ্ছেদ 2(a) সংযোজন রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে ইসলামের মর্যাদাকে দৃঢ় করেছে, যেখানে প্রজাতন্ত্রের মধ্যে অন্যান্য ধর্মের শান্তিপূর্ণ অনুশীলনের নিশ্চয়তা দিয়েছে।

হাইকোর্টের রায় রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে পুনর্নিশ্চিত করে একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি সিদ্ধান্তকে নির্দেশ করে যা দেশের সাংবিধানিক কাঠামো এবং ধর্মীয় ল্যান্ডস্কেপের জন্য প্রভাব ফেলে। এটি দীর্ঘস্থায়ী আইনি বিরোধের সমাধান করার সময় সাংবিধানিক নীতির ব্যাখ্যা ও সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের ভূমিকার ওপর জোর দেয়।

   


পাঠকের মন্তব্য