কেন্দুয়ায় গৃহবধূকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ

পপি আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ

পপি আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় স্বামীর ঘর থেকে পপি আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে স্বামী গৃহ থেকে নিহত পপি আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এঘটনাটি উপজেলার বলাইশিমুল ইউপির সরাপাড়া গ্রামে ঘটেছে। নিহত পপি আক্তার সরাপাড়া গ্রামের সাদ্দাম মিয়ার স্ত্রী। এঘটনার পর থেকে স্বামী সাদ্দাম মিয়া পলাতক রয়েছে। পপিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করছেন নিহতের মা।

কেন্দুয়া থানা ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর পূর্বে কেন্দুয়া উপজেলার সরাপাড়া গ্রামের মৃত কাদু মিয়া ছেলে সাদ্দাম মিয়ার সাথে আটপাড়া উপজেলার আব্দুল কাদিরের মেয়ে পপি আক্তারের বিয়ে হয়। প্রথমে তাদের দাম্পত্যজীবন ভাল গেলেও সম্প্রতি তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। গত দেড় মাস আগে অভিমান করে পপি চলে যায় বাপের বাড়িতে। গত ১ ফেব্রুয়ারি দেন-দরবার করে পপিকে বাড়িতে নিয়ে আসে সাদ্দাম মিয়া। বাড়িতে আনার এক সপ্তাহের মাথায় লাশ হয় পপি আক্তার।

নিহতের মা পারভিন আক্তার জানান, তার মেয়ে জামাই জুয়া খেলায় আসক্ত হওয়ায় তাদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সে বাজার- সদাই করতো না। দেড় মাস আগে ৩দিন উপবাস থেকে আমাদের বাড়িতে চলে যায় পপি। পরে দেন-দরবার করে গত বুধবারে (১ ফেব্রুয়ারি) আমার মেয়েকে নিয়ে আসে। আর আজকে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আমার লাশ হয়েছে। আমার মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

এব্যাপারে কেন্দুয়া থানা ওসি আলী হোসেন জানান, এঘটনার মঙ্গলবার রাত ১০ টা থেকে ভোর ৪ টার মধ্যে ঘটেছে। স্বামী পলাতক রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

   


পাঠকের মন্তব্য