লালপুরে ইমো প্রতারক চক্রের পলাতক চার সদস্য আটক

নাটোরের লালপুর থেকে আটক

নাটোরের লালপুর থেকে আটক

সৌদি প্রবাসীদের ইমো আইডি হ্যাক করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা পূর্বক টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের পলাতক আরো চার সদস্যকে নাটোরের লালপুর থেকে আটক করেছে র‌্যাব। 

শনিবার (১১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে লালপুর উপজেলার বীরোপাড়া ও বিলমাড়িয়া গ্রামে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানী উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম দ্বয়ের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল অভিযান চলিয়ে তাদের আটক করে। 

আটককৃতরা হলো- উপজেলার বীরোপাড়া গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আরিফ হোসেন (২৪), মোজদার সরদারের ছেলে বিজয় সরদার (২২), বাকনাই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মোহন আলী (২৩) ও শরিফুল ইসলামের ছেলে আল আমিন আহমেদ (২০)। আটককৃতদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৯টি মোবাইল ফোনও ১৭টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। 

র‌্যাব জানায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে আব্দুল মালেক অভিযোগ করেন তার বোনের স্বামী সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেরে ইমো আইডি থেকে তার বোনের ইমো আইডিতে মেসেজ আসে যে স্বামী জাকির হোসেন সৌদি আরবে বিপদে আছে তার নগদ অর্থে প্রয়োজন এবং অর্থ প্রেরণের জন্য বিকাশ নম্বর দেয়। প্রতারকদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৫৫ হাজার টাকা প্রেরণ করে। পরবর্তীতে কিছু সময় পর ভূক্তভোগী বুঝতে পারে যে, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র তার স্বামীর ইমো একাউন্ট হ্যাক করে প্রেরিত বিকাশ নম্বরগুলো দিয়ে তার সাথে প্রতারণা করে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এঘটনায় অভিযোগকারী আব্দুল মালেক বাদী হয়ে ০২/০৩/২০২৩ তারিখে লালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। 

মামলা নং-০৩, জিআর নং- ৮৮, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ধারা- ২০/২৪/৩৪/৩৫। মামলার আসামী মোঃ আরিফ হোসেন (২৪) সহ অন্যান্য সহযোগীগন পলাতক ছিলেন। গত রাতে নাটোর র‌্যাব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে লালপুর উপজেলার বীরোপাড়া ও বিলমাড়িয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামী আরিফ হোসেন (২৪)সহ আরো তিন সহযোযোগীদের গ্রেফতার করে।

এসময় আটককৃতরা যোগসাজসে দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের “ইমো” ব্যবহারকারীদের ইমো হ্যাক করে তাদের পরিচিত জন দের নিকট হতে প্রতারণা পূর্বক মোবাইল ফিন্যান্সিং সার্ভিস (বিকাশ) এর মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে। পরে আসামীদের লালপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

   


পাঠকের মন্তব্য