বেরোবিতে চতুর্থ শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসব বুধবার

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) '

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) '

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) 'সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র' কর্তৃক নানান আয়োজনে চতুর্থবারের মতো আগামী বুধবার (১৫ মার্চ) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসব। দেশবরেণ্য শিল্পীদের নিয়ে  বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে এই উৎসবের আয়োজন করেছে সংগঠনটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা এবং কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা হতে শুরু হয়ে রাতভর অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন। এতে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন দেশবরেণ্য শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যশিল্পী উপস্থিত থাকবেন।

আয়োজক সূত্রে জানা যায়,২০১৭ সাল থেকে ঢাকার বাইরে এত বড় ক্লাসিক্যাল সংগীতের আয়োজন মাত্র বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েই করা হচ্ছে। পূর্বে তিনটি আসর আয়োজন করার পর কোভিড-১৯ মহামারির কারনে গত দুই বছর অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয় নি। গত তিন আসরে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় শিল্পীরা এতে অংশ নিয়েছিলেন।

এবারের আসরে দেশবরেণ্য যে সকল শিল্পী অংশগ্রহণ করবেন- কণ্ঠ সংগীতে ড. অসিত রায়, আলমগীর পারভেজ, সুপ্রিয়া দাশ, সেতারে এবাদুল হক সৈকত, আহসান হাবিব হারামাইন, চম্পক কুমার, বেহালায় মাহমুদুল হাসান, নৃত্যে ওয়ার্দা রিহাব, বাবরুল আলম চৌধুরী, মনুসংহিতা দেবশর্মা, নওশীন নওয়াল চৌধুরী, তন্বী সরকার, বাঁশিতে রনধীর দাস, তবলায় প্রশান্ত ভৌমিক, প্রশান্ত কুমার দাস ও অমিত চৌধুরী দীপ্ত। এছাড়াও সমবেত যন্ত্র সংগীত পরিবেশনায় থাকবে শুদ্ধ সংগীত পরিষদ।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ বলেন, ছোট থেকেই আমার শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠান ভালো লাগে,নিজ ক্যাম্পাসে এত বড় পরিসরে এই অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারব ভাবতেই ভালো লাগছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক মো: আতিউর রহমান বলেন, অন্যান্য বছরের মত এবারও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উৎসব আয়োজনের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করছি আমাদের শিক্ষার্থীরাসহ সকল দর্শক এই আয়োজনে মুগ্ধ হবে।

সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের উপদেষ্টা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বলেন, এমন আয়োজন যতবেশি হবে আমাদের সমাজে ততবেশি অনাচার, দুর্নীতি ও অপসংস্কৃতি কমে যাবে। এই ধারাটা অভ্যহত থাকলে আমাদের সমাজ উন্নয়নের কাজে লাগবে বলে আমি মনে করি। আমরা অপসংস্কৃতি চাই না আমরা চাই শুদ্ধ সংস্কৃতির বিকাশ।

   


পাঠকের মন্তব্য