বেরোবিতে ইউনিভার্সাল হেল্প হাবের শীতবস্ত্র বিতরণ 

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এ কর্মরত নৈশপ্রহরীদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইউনিভার্সাল হেল্প হাবের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেটিয়ার দ্বিতীয় তলায় নর্থ আমেরিকান হিউমানিট্যারিয়ান এইড এন্ড রিলিফ নাহারের সহযোগিতায় এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। 

অনুষ্ঠানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী রবিউল হাসান সাকীবের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বহিরাঙ্গন কার্যক্রম দপ্তরের পরিচালক সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সারোয়ার আহমেদ, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তফা কাইয়্যুম শরাফাত প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সাল হেল্প হাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ বলেন, ইউনিভার্সেল হেল্প হাব দীর্ঘদিন ধরে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি এবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সুরক্ষার জন্য যারা কাজ করেন তাদের পাশে দাড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও এভাবে পাশে থাকার জন্য তিনি সংগঠনটির প্রতি আহবান জানান।

ইউনিভার্সাল হেল্প হাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীরা এই শীতের মধ্যে আমাদের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আমাদের সবার উচিত তাদের সেবা পাশে দাঁড়ানো। শীতের কারণে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ-ব্যাধি, প্রচণ্ড শীতের মধ্যে রাতের বেলা দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরীরা অনেক কষ্ট করেন। তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার চেষ্টা করছি।

সুবিধাভোগীরা বলেন, মাঘ মাসের শীতের রাতে খুবই ঠান্ডা অনুভূত হয়। পরিবার চালানো খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় নিজেদের জন্য শীতের কাপড়ও কিনতে পারিনি। এখন একটু হলেও শীত কম লাগবে।

উল্লেখ্য, ইউনিভার্সাল হেল্প হাব ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকেই ইউনিভার্সাল হেল্প হাব দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করে আসছে।

   


পাঠকের মন্তব্য