কলারোয়ায় ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হলো গনহত্যা দিবস

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস

কলারোয়ায় গনহত্যা দিবসের সকল অনুষ্ঠান খুব ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হয়েছে। শনিবার ২৫মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলারোয়া সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থিত শহিদ মিনার ও শহীদের স্মৃতি বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। 

প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন-কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা সুলতানা নীলা। এর পরে পর্যায়ক্রমে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ, কলারোয়া পৌরসভা, কলারোয়া সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ২৫মার্চ গনহত্যা দিবসের এক আলোচনা সভার আয়োজন করে কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন। 

সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন-সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেনজির হেলাল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুস্তাফিজুর রহমান, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দীন মৃধা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা সুলতানা নীলা, কলারোয়া পৌর সভার মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল। 

সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন- কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সকল দপ্তরের দাপ্তরিক প্রধানগণ, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কলারোয়া শাখার সভাপতি ও কলারোয়া পৌর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক সরদার জিল্লুর, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলি, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু রায়হান ও সহ.সাংগঠনিব সম্পাদক সাংবাদিক সেলিম খান। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে-কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন-কলারোয়া উপজেলার কোন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মিদের ২৫ মার্চের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করার জন্য আমি হতবাক হয়েছি। এদিকে ২৫ মার্চের আলোচনা অনুষ্ঠান ও ফুল দেওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। একই সুরে সুর মিলিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউএনও রুলী বিশ্বাস, থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দীন মৃধা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুস্তাফিজুর রহমান।

   


পাঠকের মন্তব্য