শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটি এখন বিনোদন কেন্দ্র

শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটি এখন বিনোদন কেন্দ্র

শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটি এখন বিনোদন কেন্দ্র

দেশের উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতুর শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর। এই সেতুর দুই পাড়ে হাজারো দর্শনার্থীদের ঢল দেখা গেছে। এ উপজেলায় বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় ৯৮ মিটার দৈঘ্য ও ৯.৮ মিটার প্রসথ সেতুর দুই পাড়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সেতুটি কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার সীমানাবর্তী শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত।

শনিবার ঈদের প্রথম দিন ও রবিবার ঈদের দ্বিতীয় দিন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ি এলাকায় শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও রংপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ এখানে ঘুরতে এসেছেন। সেতুর দুই পাড়ে  ফুচকা, চানাচুর, আইসক্রিম, চুড়ি, ফিতা, বেলুন,গোলাপ ফুলসহ প্রায় শতাধিক দোকান বসেছে। সব দোকানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ও দেখা গেছে। 

সেতুতে দিয়ে ফুলবাড়ী-লালমনিরহাট ও বড়বাড়ি সড়কে যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছে বলে জানান ফুলবাড়ী থানার এসআই স্বপন।

বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে আমরা গত বছরেও শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর পাড়ে এসেছি এবারও এসেছি। এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে এসেছে। আমাদেরও খুব ভাল লাগছে, কিন্তু এখানে যদি বিনোদন কেন্দ্র ব্ পার্ক থাকতো তাহলে আরো বেশি মজা হতো। 

গোলাপ ফুল দোকানদার জানায়, আমি গত এক বছর  যাবৎ এই ফুলের দোকা করে আসছি,আজকে শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর পারে এসে বেশ কিছু ফুল বিক্রি করেছি,আরো যদি পাশে একটা বিনোদন কেন্দ্র থাকতো আরো ভালো হতো। লালমনিরহাট থেকে আসা কসমেটিকস দোকানদার জানায়, আমি ৮/১০ বছর  যাবৎ এই ব্যবসা করে আসছি,গতকাল ও আজকেও এসেছি। এখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থী আনন্দ করার জন্যই এছসেছে। তবে  
 
লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম এলাকার ল নাওডাঙ্গা এলাকার শহিদুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, ঈদের উৎসব উদযাপন করতে শেখ হাসিনা ধরলা সেতু পাড়ে এসেছি। এখানে এসে ধরলায় ডিঙ্গি নৌকায় ঘুরেছি।  সব মিলে এবারের ঈদ-আনন্দ ভাল হয়েছে।

   


পাঠকের মন্তব্য