লক্ষীপুরে সন্ত্রাসী হামলায় যুবলীগ নেতার মৃত্যু 

যুবলীগ নেতা মনু মিয়া

যুবলীগ নেতা মনু মিয়া

শান্ত পরিবেশ আবার হয়ে উঠেছে অশান্ত। রক্ত নিয়ে খেলা আবার শুরু হয়েছে। শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো আবার রাত কাটাচ্ছে আতঙ্ক আর ভয়ের মধ্যদিয়ে।

লক্ষীপুর অঞ্চল লক্ষী নামেই পরিচিত ছিল। এই জেলার মানুষজন শান্ত আর শান্তিপ্রিয় হিসেবে সারাদেশে পরিচিত। কিন্তু শকুনের ছায়া নেমে এসেছে এই শান্তিপ্রিয় জেলায়।লক্ষীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয় তার সাথে থাকা লক্ষীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদককেও গুলি করে,পরবর্তিতে ঢাকায় নেয়ার পথে সেও মারা যায়।

গতরাত লক্ষীপুরের সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ির পাশে সদ্য ওমরা করে আসা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান এবং তার সাথে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে এবং গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নোমান ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান রাকিব।

বশিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং আবদুল্লাহ আল নোমানের বড় মাহফুজুর রহমান তার ছোটভাই হত্যাকান্ডে তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কাশেম জিহাদীর দিকে সন্দেহের তীর ছুড়েছেন। যদিও আওয়ামীলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে বিরোধী দল অর্থাৎ জামাত শিবিরের সম্পৃক্ততার কথা বলেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, সন্ত্রাসী যেই হোক, আইনের বাহিরে কেউ নয়।তাদের আইনের আওতায় এনে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাদেরকে ধৈর্য ধারন করার অনুরোধ জানান।

অনেকেই মনে করেন রাজনীতিতে লক্ষীপুর আবার উত্তপ্ত হবে।পরিণত হবে রণাঙ্গনে।প্রতিশোধের নেশায় আক্রমণ পালটা আক্রমনে আবারো লক্ষীপুর পরিণত হবে রক্তের নেশায় লিপ্ত।

   


পাঠকের মন্তব্য