দৌলতদিয়া দূর্ধর্ষ ডাকাতি; ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার ৭ 

দৌলতদিয়া দূর্ধর্ষ ডাকাতি; ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার ৭ 

দৌলতদিয়া দূর্ধর্ষ ডাকাতি; ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার ৭ 

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে গরু বিক্রি বাড়ীফেরার সময়, গরু ব্যবসায়ীদের নৌকায় ডাকাতি করেছে, জলদস্যু বাহিনীর সদস্যরা। ডাকাতি কৃত টাকার পরিমান আনুমানিক দেড় কোটি টাকারও বেশি। এই গরু ব্যবসায়ীরা আরিচার হাটে ২০টি গরু বিক্রি করে নগদ আনুমানিক দেড় কোটি টাকা নিয়ে, ৮০ থেকে ১০০ জন ব্যবসায়ী নৌকা যোগে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।

মঙ্গলবার (২রা মে) দুপুরে পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ফেরীঘাটের ২০০ গজের কাছাকাছি পৌছালে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এসময় ডাকাত চক্রের অন্তত ১৫ থেকে ২০জন সদস্য বিভিন্ন দেশী বিদেশী অস্ত্রসহ, একটি স্পিড বোর্ড নিয়ে আরিচা হাটে গরু বিক্রি করে, বাড়ীফেরা নৌকাকে ধাওয়া করে। পরে গরুর নৌকাসহ ৮০ থেকে ১০০ জন গরুর ব্যবসায়ীকে আটক করে, মুহূর্তের মধ্যে  আনুমানিক দেড় কোটি টাকারও ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়, জলদস্যু বাহিনীর একদল সশস্ত্র সদস্যরা। এসময় আহত হয় অন্তত ২০জন গরু ব্যবসায়ী।

তবে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ৩ ঘন্টার মধ্যেই জলদস্যু ডাকাত চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাড়ি ও মাঝির ঘাট নৌপুলিশ ফাড়ি যৌথ নৌপুলিশ সদস্যরা। এসময় আটক কৃত ৭জন জলদস্যু ডাকাতের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়,নগদ অন্তত ১৫ লাখ টাকা ও ৩টি পাইফ গান সহ বিভিন্ন দেশী বিদেশি অস্ত্র।

এর আগে দুপুরে গরুর ব্যবসায়ীরা দাবী করছেন, পরিকল্পনা করে এই ডাকাতি করা হয়েছে। এই ডাকাত চক্রের সাথে নৌকার চালক বা মালিক জরিত থাকতে বলে জানান তারা।

এব্যাপারে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আব্দুর রহমান মন্ডল বলেন, ইতিপুর্বে কোনদিন এরকম ডাকাতির ঘটনা দৌলতদিয়ার নৌপথে ঘটেনি। বিষয়টি দুঃখজনক।

আর দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেএম সিরাজুল কবির ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার যৌথভাবে জানান,দৌলতদিয়া ফেরীঘাটে দিনেদুপুরে এরকম ঘটনা রহস্যজন।   তবে এই ঘটনার অন্তত ৩ ঘন্টার মধ্যে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৭জন জলদস্যু ডাকাত সহ নগদ ১৫ লাখ টাকা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হই। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনত গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে।

   


পাঠকের মন্তব্য