মিঠাপুকুরে চোরাই মাল উদ্ধারসহ চোর চক্রের গ্রেফতার ০৫

মিঠাপুকুর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান

মিঠাপুকুর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান

মিঠাপুকুর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান চোরাই মালামাল উদ্ধারসহ ০৫ জন চোরকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত হলেন মিঠাপুকুর উপজেলার চিথলী দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত ইলিয়াস আলী পুত্র মেহেদী হাসান মারুফ। মিঠাপুকুর উপজেলার চিথলী দক্ষিনপাড়া গ্রামের মোঃ মোকছেদ আলী পুত্র  মোঃ রিয়াদ বাবু। 

মিঠাপুকুর উপজেলার চিথলী দক্ষিনপাড়া গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমানের পুত্র মোঃ সৈকত রহমান।মিঠাপুকুর উপজেলার চিথলী দক্ষিনপাড়া গ্রামের মোঃ শাহ আলমের পুত্র মোঃ আবিদ মাহমুদ অন্যজন মিঠাপুকর উপজেলার গিরাই দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত ফজলুল হকের পুত্র মোঃ মঞ্জুর  হোসেন টেক্কা।

উল্লেখ‌্য মিঠাপুকুর থানার উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গত ৩০/০৪/২৩ তারিখ একটি দুধর্ষ চুরি হয়। 

উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে মিঠাপুকুর থানার মামলা নং-০৬ তারিখ-০১/০৫/২৩ ধারা- ৪৫৭/৩৮০ রুজু হয়। অজ্ঞাতনামা চোরেরা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার  জানালার গ্রীল কেটে ০১টি ১৬০০ ভি,এ আইপিএস মেশিন এবং ০২টি ১৩০ হর্স পাওয়ারের সোলার মেশিন অজ্ঞাতনামা ব‌্যক্তিরা চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১,০০,০০০/- টাকা। পাশাপাশি একই সময়ে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্পের অফিসের দরজার তালা ভেঙ্গে অফিসের ভিতরে থাকা একটি সরকারি ভিক্টর লিপান ১০০ সিসি মোটরসাইকেল যাহার রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো-হ-৫৬-১৮৫২, যাহার মুল্য ১,২০,০০০/- টাকা  চুরি করে নিয়ে যায়।  

উক্ত ঘটনায় গত ইং-০১/০৫/২৩ তারিখ পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব, মোঃ মমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় উক্ত মামলার রুজু হওয়ার পরপরই মিঠাপুকুর থানা পুলিশ টিম মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য ব্যাপক ভাবে তৎপরতা চালায়। তদন্তের একপর্যায়ে এলাকার চোর সন্দেহে মেহেদী মারুফকে আটক করা হয় এবং ঘটনা সংক্রান্তে তাকে জিজ্ঞাসাবাদকালে আটককৃত মারুফ চুরির ঘটনা স্বীকার করে চোর চক্রের কয়েক জনের নাম বলে। চুরি হওয়া মালামাল ও অন্যান্য চোরেরা মঞ্জুর হোসেন টেক্কার বাড়ীতে আছে। 

তাৎক্ষনিকভাবে উক্ত তথ্য মোতাবেক মিঠাপুকুর থানার চৌকস পুলিশ দল মঞ্জুর হোসেন টেক্কার বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করিয়া পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় হইতে চুরি যাওয়া আইপিএস ও ব্যাটারি উদ্ধার ও ০১টি ল্যাপটপ উদ্ধার করেন এবং চোর দলের সদস্য টেক্কা ও বাবুকে গ্রেফতার করেন এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসবাদে তাদের দেওয়া তথ্য মতে উক্ত পুলিশ দল পীরগঞ্জ  থানাধীন পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে অভিযান পরিচালনা করিয়া আউয়াল এর গ্যারেজ হইতে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় হইতে চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার করেন। অতঃপর টেক্কার বাড়ী হইতে সন্দেহ জনকভাবে একটি ল্যাপটপ উদ্ধার হওয়ার বিষয়ে টেক্কা সহ আটককৃত অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তারা স্বীকার করেন যে, গত  ইং-১৩/০৩/২৩ তারিখ দিবাগত রাতে মিঠাপুকুর থানাধীন শঠিবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হইতে ১২ টি lenovo ও ০১টি deol কোম্পানীর ল্যাপটপ চুরি করে রেখেছে। 

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের একটি চৌকস দল সহকারী পুলিশ সুপার ডি-সার্কেল এর নির্দেশনায় মিঠাপুকুর থানার মামলা নং-২৫ তারিখ-১৪/০৪/২৩ ধারা-৪৫৭/৩৮০ এর রহস্য উদঘাটনে মালামাল উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে মিঠাপুকুর থানাধীন মিঠাপুকুরে বাজারে অবস্থিত রাঙ্গা মেসে অভিযান পরিচালনা করিয়া আসামী সৈকতকে আটক করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ গুলোর সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে এবং তার দেওয়া তথ্য মতে তাকে সঙ্গে নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় মিঠাপুকুর ও রংপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করিয়া ০৫ টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। 

অতঃপর আটককৃত রিয়াদ বাবুর তথ্য অনুযায়ী  রিয়াদ বাবুকে সঙ্গে নিয়ে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া উক্ত বাবুর ভাড়া নেওয়া মেসের রুম হইতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হইতে চুরি যাওয়া ০৪টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। শঠিবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হইতে চুরি যাওয়া ১৩টি ল্যাপটপের মধ্যে ১২টি উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত এই চক্রের অন্যান্যদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। 

উক্ত আসামীরা সকলেই সংঘবদ্ধ চোর ও ছিনতাইকারী দলের সদস্য। তারা বিভিন্ন সমর থানা এলাকায় বড় অপরাধ কর্ম ও চুরি সংঘটিত করে পালিয়ে গিয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে থাকে এবং কিছু দিন পর ফিরে এসে একই ঘটনা ঘটায়। আসামীদের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

   


পাঠকের মন্তব্য