গাজীপুর সিটি নির্বাচন, ফ্যাক্টর শ্রমিক ভোট

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট আগামীকাল বৃহস্পতিবার। 

নির্বাচনের জন্য আগামীকাল গাজীপুর সিটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক গার্মেন্টস ও অন্যান্য কারখানার মালিকরা বলেছেন, তারা নির্বাচনের দিন কারখানা বন্ধ রাখবেন। যেন শ্রমিকরা ভোট দিতে পারেন।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে কমিশন। তবে, মেয়র প্রার্থীদের খুব বেশি প্রচারণায় দেখা যায়নি। ভোটারদের মধ্যেও তেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই। বরং তারা নির্বাচনের দিনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী আটজন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান এবং সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের মধ্যে। এ নির্বাচনে আজমত উল্লা খান দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ এবং জায়েদা খাতুন ‘টেবিল ঘড়ি’ প্রতীক নিয়ে লড়বেন।

স্থানীয় পর্যায়ের ভোটার ও শ্রমিক নেতারা বলছেন, নির্বাচানে ভোটারদের উপস্থিতি ও শহরে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক শ্রমিক পরবর্তী মেয়র কে হবেন তা নির্ধারণের চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। নির্বাচনি মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তাদের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬-১৭ জন সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হবে।

উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪৬ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফয়সাল আহমেদ সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮০টি এবং ভোটকক্ষ ৩৪৯৭টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। 

   


পাঠকের মন্তব্য