সেই ছোট্ট কিশোরী আজ অভিজ্ঞ বিজ্ঞানী ঋতু করিধাল

বিজ্ঞানী ঋতু করিধাল

বিজ্ঞানী ঋতু করিধাল

চাঁদ, তারার দেশে হারিয়ে যাওয়া সেই ছোট্ট কিশোরী আজ অভিজ্ঞ বিজ্ঞানী। স্বপ্নে নয় সত্যি সত্যি তিনি ছুঁয়ে ফেলেছেন চাঁদের মাটি।

ছোটবেলা থেকেই রাতের আকাশ ভীষণ পছন্দ করতেন কিশোরী। ঘন্টার পর ঘন্টা বাড়ির ছাদে শুয়ে দেখতেন চাঁদ, তারা। চাঁদ, তারার দেশে হারিয়ে যাওয়া সেই ছোট্ট কিশোরী আজ অভিজ্ঞ বিজ্ঞানী। স্বপ্নে নয় সত্যি সত্যি তিনি ছুঁয়ে ফেলেছেন চাঁদের মাটি। লখনউ এ এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ঋতু করিধাল। 

ছোটবেলা থেকেই রাতে পড়াশোনা করতে ভালবাসতেন তিনি। সঙ্গে সব সময় পেয়েছেন মাকে। এমনকি চাঁদে যেতে চান সে কথাও মাকে জানিয়েছিলেন তিনি। ছোট্ট মেয়ের কথা শুনে অবশ্য হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন মা তবে হার মানেননি ঋতু করিধাল।

ছোট থেকেই তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছিল গণিত এবং পদার্থবিদ্যা। একটা সময় লখনউয়ের নবযুগ কন্যা বিদ্যালয় পড়াশুনা করেছেন তিনি। এরপর পিজি কলেজ। সেখান থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করেন স্নাতকোত্তর। এরপর শুরু হয় তাঁর নতুন লড়াই। ‘গেট’ পরীক্ষায় ভালো ফল করে তিনি সুযোগ পেয়ে যান অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সাইন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর জন্য সুযোগ পান তিনি সেখান থেকে এম টেক।

এরপরই আবেদন করেন ইসরোয় চাকরির জন্য। মিলেও যায় সাফল্য। 1997 সালে এই সংস্থায় যোগদান করেন। সকলের কাছে তিনি পরিচিতি পান নবীন বিজ্ঞানী হিসেবে। তার ঠিক 10 বছর পর অর্থাৎ 2007 সালে ইয়ং সাইন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন ঋতু করিধাল তাঁর হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এ পি জে আবদুল কালাম।

2019 সালে ‘চন্দ্রযান 2’ অভিযানে তিনি ছিলেন মিশন ডিরেক্টর। ‘মঙ্গলযান’ এর পর ‘বিক্রম’ কে চাঁদে পাঠিয়ে তিনি এখন দেশের রকেট উওম্যান। তাঁর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে মায়ের কৃতিত্ব এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এক বিজ্ঞানী হওয়ার পাশাপাশি রয়েছে তার সংসার। স্বামী এবং দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে সুখী গৃহকোণ ঋতু করিধালের।

   


পাঠকের মন্তব্য