পাইকগাছার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনের নানা অনিয়ম

শিক্ষা বোর্ডে লিখিত অভিযোগ দায়ের

শিক্ষা বোর্ডে লিখিত অভিযোগ দায়ের

পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উঠেছে  সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী কো-অপ্ট নির্বাচনে নানা অনিয়মের ঘটনা। 

এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ডে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর কমিটি বাতিল করা হলেও পরবর্তীতে অদৃশ্য কারণে ফের বিতর্কিত ওই কমিটি বহাল করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে কমিটির বেশিরভাগ সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, কেডি সাহাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৫ জন অভিভাবক সদস্য ও ১ জন দাতা সদস্য সহ মোট ৬ জন নির্বাচিত হন। 

পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচনের জন্য প্রিজাইডিং অফিসার ও একাডেমিক সুপারভাইজার মীর নূরে আলম সিদ্দিকীর কার্যালয়ে যান নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য যথাক্রমে শংকর ধর, রেজাউল সরদার, আজবাহার আলী গাজী, আছাদুজ্জামান ময়না,  আমেনা খাতুন ও দাতা সদস্য হরিপদ সরকার। সভাপতি নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্য তাদের মধ্যে একজনকে সভাপতি বানানোর আশ্বাস দিয়ে তিনি কৌশলে উপস্থিত সকলের রেজুলেশন খাতায় সই নেন। 

পরে সভাপতি হিসেবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দিন ফিরোজ বুলু'র নাম দিয়ে কমিটি অনুমোদনের জন্য শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করা হয়। যশোর শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল ইসলাম কর্তৃক কমিটি অনুমোদনের পর বিদ্যোৎসাহী নির্বাচনের লক্ষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সভা আহ্বান করেন। তবে নোটিশ খাতায় নির্বাচিত ৬ জনের কেউ স্বাক্ষর করেননি। 

নতুন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ১৪/০৮/২২ তারিখে এবং ওই সভায় বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে আব্দুল বারিক গাজীকে কো-অপ্ট নির্বাচিত করা হয়। এ ব্যাপারে নির্বাচিত সদস্য শংকর ধর শিক্ষা বোর্ড বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে প্রবিধান-২০০৯ এর ৭ (১) (ঝ) উপধারা লংঘিত হওয়ায় কেন অনুমোদিত ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করা হবে না তার জবাব চেয়ে প্রধান শিক্ষক পরমানন্দ বিশ্বাস কে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল ইসলাম। 

প্রধান শিক্ষকের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় অনুমোদিত ম্যানেজিং কমিটি বাতিল ঘোষণা করেন বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল ইসলাম। যদিও প্রধান শিক্ষকের আরেক আবেদনের প্রেক্ষিতে কমিটি বাতিল করার পত্রটি প্রত্যাহার করা হলো মর্মে বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল ইসলাম চিঠি ইস্যু করেন। 

এর প্রেক্ষিতে নির্বাচিত সদস্যগণ ২৭/০২/২০২৩ তারিখে হাইকোর্টে রিট করেন। যার নম্বর ২৪১৭/২৩।  এ ব্যাপারে নির্বাচিত সদস্য আজবাহার আলী গাজী জানান, আমাদের না জানিয়ে নতুন কমিটি ইতিমধ্যে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গোপনে দু’কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে এবং আবারও নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে গোপনে তৎপরতা চালাচ্ছে। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সবার সিদ্ধান্তে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আপাতত কোন নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানান প্রধান শিক্ষক পরমানন্দ বিশ্বাস।

   


পাঠকের মন্তব্য