পাইকগাছায় শিবসা ব্রিজের এ্যাপ্রোস সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা

সড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা

সড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা

পাইকগাছা পৌর সদরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি’র শিবসা ব্রিজের এ্যাপ্রোস সড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন কতিপয় ব্যক্তিরা। প্রায় দেড় যুগ ধরে কোটি কোটি টাকা মূল্যের এসকল সরকারি জায়গা জবর দখল করে আছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দখলকারীদের এলজিইডি থেকে কয়েক দফা নোটিশ প্রদান করা হলেও কেউই আমলে নেয়নি। বহাল তবিয়াতে রয়েছেন অবৈধ দখলকারীরা। 

সর্বশেষ গত ১২ জুলাই এক সপ্তাহের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়। ১৯ জুলাই বুধবার নির্ধারিত সময় শেষ হলেও কোন ব্যক্তিকে স্থাপনা অপসারণ করতে দেখা যায়নি। 

উল্লেখ্য, উপজেলা সদরের সাথে জেলা শহর, দেলুটি, সোলাদানা ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য উপজেলা সদরের প্রাণ কেন্দ্রেই শিবসা নদীর উপর শিবসা ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটি নির্মাণের লক্ষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি থেকে ২০০৫ সালের দিকে এ্যাপ্রোস সড়ক নির্মাণের জন্য বাতিখালী মৌজায় ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়।  

সড়ক নির্মাণের পর সড়কের দুই পাশে ৩০ থেকে ৪০ ফুট করে অধিগ্রহণকৃত সরকারি জায়গা রয়ে যায়। এ জায়গা পর্যায়ক্রমে এলাকার কতিপয় ব্যক্তিরা অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলে। কেউ বাড়ি ঘর তৈরী করে বসবাস করছেন। অনেকেই আবার দোকান পাট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। 

এলজিইডি’র তথ্য অনুযায়ী সরকারি এ সম্পত্তির উপর একটি বেসরকারি মহিলা মাদ্রসাও রয়েছে। সরকারি এ সম্পদ উদ্ধারে দীর্ঘদিন প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত দখলকারীদের অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য ৪ বার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। প্রথম নোটিশ প্রদান করা হয়  ৮ডিসেম্বর ২০২১ এরপর ১৪ জুন ২০২২, তারপর ১১ মে ২০২৩, সর্বশেষ নোটিশ প্রদান করা হয় ১২ জুলাই ২০২৩ তারিখ জামির উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করার জন্য বলা হয়। নির্ধারিত সময় শেষ হলেও কাউকে স্থাপনা অপসারণ করতে দেখা যায়নি। 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান খান জানান, যারা আমাদের অধিগ্রহণকৃত জমির উপর অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন তাদেরকে আমরা ৪ বার নোটিশ প্রদান করেছি। সর্বশেষ নোটিশের নির্ধারিত সময়ও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এলজিইডি’র এ কর্মকর্তা জানান। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, অধিগ্রহণকৃত জায়গা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের। এখানে সরাসরি আমাদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নাই। বিধায় এ ব্যাপারে এলজিইডি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেই পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে হবে।

   


পাঠকের মন্তব্য