আবারও হত্যা আবারও সহিংসতা; কোন পথে রাজনীতি

রাজনৈতিক হিংসায় অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ

রাজনৈতিক হিংসায় অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ

রাজনৈতিক হিংসায় অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। নির্বাচনের এখনো প্রায় ৬ মাস বাকী; এরিমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে খুন খবরের মধ্যদিয়ে মিলছে ভয়ঙ্কর আভাস। আবারও হত্যা আবারও সহিংসতা; কোন পথে বিএনপি ? অভিযোগের তীর বিরোধী দল বিএনপির দিকে। ঘটনার তদন্ত শুরু।   

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দান। দেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলি প্রতিদিনই মিছিল-সমাবেশের মাধ্যমে অস্তিস্ব জাহির করার মরিয়া চেষ্টা করছে। এরমাঝেই রাজধানী ঢাকা ও খুলনা-সহ একাধিক যায়গায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৩ সদস্যকে হত্যার খবর। এতে আরও জটিল করে তুলেছে পরিস্থিতি।  
  
প্রজন্মকণ্ঠের প্রাপ্ত তথ্যমতে, রাজধানী ঢাকার শাহজাহানপুরে অলিউল্লাহ রুবেল নামে যুবলীগের নেতাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শাহজাহানপুরের গুলবাগে এই কাণ্ড ঘটে। এর আগে অলিউল্লাহ রুবেল শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি যুবলীগের রাজনীতি করেন। তার সারা শরীরেই ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে।  

অন্যদিকে, তারুণ্যের জয়যাত্রার খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে নড়াইল জেলায় দুষ্কৃতীর হাতে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়। এ সময় জখম হন আরও একজন। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ১১নং পেরুলিয়া ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার এই ঘটনা। নিহতের নাম আজাদ শেখ। তিনি ১১ নং পেরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাত শেখের বড় ভাই। এ সময় জনি সরদার নামে এক যুবলীগকর্মী জখম হন।  

এই হামলার নেপথ্যে বিএনপি-জামাত গোষ্ঠী রয়েছে বলে অভিযোগ যুবলীগের। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এই প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে এসব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তাঁরা।

প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামাত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। 

তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষ ভাল থাকুক, দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকুক তা তারা চায় না। কারণ বিএনপির জন্মই হয়েছে গুম, খুন আর হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে। তারা ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ২০১৩-১৪ সালে অসংখ্য মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। বিএনপি-জামাত হত্যার রাজনীতি ছাড়া অন্য কোন রাজনীতি বোঝেনা। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নামক সন্ত্রাসী সংগঠনটি যতদিন বাংলার মাটিতে থাকবে ততদিন এদেশের মানুষের কোন শান্তি থাকবে না, জুলুম হবে, অত্যাচার হবে, হত্যাকা- ঘটবে।

   


পাঠকের মন্তব্য